নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী ॥ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা গ্রামে স্বামীর পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেওয়ায় নুর বেগম (৩৬) নামে এক গৃহবধু খুনের শিকার হয়েছে।
এ ঘটনায় থানা পুলিশ স্বামী মোঃ বেলালকে আটক করেছে। সোমবার সংঘটিত এ ঘটনায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। তাছাড়া আজ মঙ্গলবার (২০ নবেম্বর) নিহতের ভাই নুর হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পরকীয়ার বলি গৃহবধু হত্যার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিগত ১২ বছর আগে গন্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনার ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আবুল ইসলামের পুত্র মো. বেলাল উদ্দিনের সঙ্গে সরল ইউনিয়নের কাহারঘোনা গ্রামের হাসান আহমদের মেয়ে নুর বেগমের সামাজিকভাবে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে ২ ছেলে ও ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
সম্প্রতি বাড়ির অদূরে প্রবাসীর স্ত্রী ফরিদা বেগম নামের এক গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে বেলাল। প্রায় সময় দিবাগত রাতে গাড়ীর জন্য গ্যাস নিতে চট্টগ্রাম শহরের গ্যাস পাম্পে যাওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বেরিয়ে পড়ত বেলাল। কিন্তু সে গ্যাস পাম্পে না গিয়ে বাড়ির অদূরে প্রবাসীর স্ত্রী ফরিদা বেগমের সঙ্গে রাত যাপন করতেন বলে জান যায়। পরকীয়া বিষয়টি জানতে পারে নুর বেগম মাঝে মধ্যে প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হত।
গত রবিবার দিবাগত রাতে একই কায়দায় বেলাল ঘর থেকে বের হলে তার পিছু নেয় নুর বেগম। এদিকে নুর বেগমকে বাড়ীতে না পেয়ে তার সন্তানেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। প্রতিবেশীরা নুর বেগমের স্বামীর পিছু নেওয়ার কথা জানতে পেরে প্রবাসীর স্ত্রী ফরিদা বেগমের বাড়িতে সন্ধান করে। ওইদিন ভোর ৫টায় প্রতিবেশীরা দেখেন, ফরিদার ঘরের পাশে তেতুল গাছের নিচে নুর বেগমের লাশ। খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার বিকেলে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, পরকীয়ার কারণে নুর বেগম খুন হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম রয়েছে। তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছে বলেও জানান তিনি।
