ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘এসডিজি অর্জনে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে ’

প্রকাশিত: ০৩:১৯, ২০ নভেম্বর ২০১৮

‘এসডিজি অর্জনে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে ’

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে স্থায়িত্ব উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে সম্মিলিতভাবে কাজ করার উপর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সম্মিলিতভাবে কাজ না করলে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি’র একটিও অর্জন সম্ভব নয়। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত এসডিজি বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সিপিডি’র বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। তিনি বলেন, সরকারী সংস্থাগুলোর কাজের ওপর টেকসই উন্নয়ন নির্ভর করে। একক কোনো সংস্থা বা মন্ত্রণালয় কাজ করলে হবে না। সম্মিলিতভাবেই সবগুলো মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে। সম্মিলিতভাবে কাজ না করলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) একটিও অর্জন করা সম্ভব নয় বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তিনি। ড. গওহর রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন। বর্তমান সরকার সবসময় আঞ্চলিক সহযোগিতা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েই এগিয়ে চলছে। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মূল প্রবন্ধে বলেন, বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচি আসার ফলে জনমনে যে আকাঙ্খার সৃষ্টি হয়েছে এবং দারিদ্র্যতা দূরীকরণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ইত্যাদি নিয়ে যে সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য এই মুহূর্তে সার্ক খুব কার্যকর হচ্ছে না। তাই জন প্রত্যাশার সঙ্গে আমাদের আঞ্চলিক কাঠামোর একটা পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। এই পার্থক্য দূর করার জন্য নতুন ধরনের পদ্ধতি এবং নতুন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রয়োজন পড়বে। সেই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর পদ্ধতি জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে হলে জনগণের প্রত্যাশা এবং রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে এগুতে নতুন জ্ঞানের ও বিশ্লেষণের দরকার এবং নীতি নির্ধারকদের নতুন পলিসি সৃষ্টি করা দরকার। এটা না হলে বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে যে আঞ্চলিক সহযোগিতার বাড়তি সুযোগ ছিল, সেটা আমরা হারাবো। এর ফলে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সিপিডি’র অতিরিক্ত পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সম্পর্কিত অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) প্রধান ড. নাগেশ কুমার, আফগানিস্তানের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার আব্দুল ওয়াহেদ আহমেদ, শ্রীলঙ্কার ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিস অব শ্রীলঙ্কা (আইপিএস) রিসার্স ফেলো ড. গানগা তিলাকারতে্নে, নেপালের পোশ রাজ পান্ডে প্রমুখ।
×