অনলাইন রিপোর্টার ॥ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার আদালত রায় দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন না সাবেক এই মন্ত্রী; ফলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। সেই পরোয়ানায় সন্ধ্যায় রফিকুলকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি মো. শাহজাহান।
তিনি বলেন, “তাকে ইষ্কাটনের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল।” সম্পদের হিসাব না দেওয়ায় ব্যারিস্টার রফিকুলকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ গোলাম মাহবুব।
১৪ বছর আগের এ মামলার রায়ে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি রফিকুলকে আদালত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম করাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের ৭ এপ্রিল তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে রফিকুল ইসলাম মিয়াকে নোটিস দিয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি হিসাব না দেওয়ায় ব্যুরো কর্মকর্তা সৈয়দ লিয়াকত হোসেন ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি রফিকুলের বিরুদ্ধে ঢাকার উত্তরা থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ নবেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন ওই কর্মকর্তা। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০১৭ সালের ১৪ নবেম্বর বিচার আদেশ দেন। খালেদা জিয়ার ১৯৯১-৯৬ সালের সরকারে পূর্তমন্ত্রী ছিলেন রফিকুল ইসলাম মিয়া; পরে বেশ কিছুদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর ফের বিএনপিতে সক্রিয় হন তিনি।
কুমিল্লার সাবেক সংসদ সদস্য রফিকুল ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি ঢাকার মিরপুরের আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: