ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সান্তাহারে জেএসসি পরীর্ক্ষীথীনি অপহরণ, আটক ২

প্রকাশিত: ০০:২৮, ২১ নভেম্বর ২০১৮

সান্তাহারে জেএসসি পরীর্ক্ষীথীনি অপহরণ, আটক ২

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার ॥ বগুড়ার সান্তাহার থেকে কুমারী তমাশ্রী (১৪) নামের এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে অপরহণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহৃতা তমাশ্রী সান্তাহার ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের শ্রী তপেস বাগচি’র মেয়ে। সে সদ্য সমাপ্ত জেএসসি পরীর্ক্ষাথীনি। ঘটনাটি ঘটছে মঙ্গলবার সন্ধায় সান্তাহার পৌর এলাকার তারাপুর মহল্লার মন্দির এলাকায়। বুধবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এঘটনায় থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাতে অপহরণকারিদের মধ্যে দুইজনের বাবাকে আটক করেছে। আটককৃতরা হল অপহরণকারি সাদ্দাম হোসেনের বাবা সান্দিড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ ও অপহরনে সহযোগীতাকারি সাব্বির হোসেনের বাবা একই গ্রামের মুরশিদ আলী। জানা গেছে, কাশিপুর গ্রামের কৃষক তপেস বাগচি’র মেয়ে কুমারী তমাশ্রী বাগচি এলাকার সান্দিড়া শহীদ সিরাজ খান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। সে স্কুল শেষে স্কুল পাশে প্রাইভেট পড়ে তার পর বাড়িতে ফেরে। স্কুলে যাওয়া আসার সময়, সান্দিড়া গ্রামের রিক্সাচালক আব্দুস সামাদের ছেলে ট্রাক্টর চালক সাদ্দাম হোসেন(২১) প্রায়ই তমাশ্রীকে প্রেম নিবেদন করত। সে সাড়া না দেওয়ায় ক্ষ্পি হয়ে উঠে সাদ্দাম হোসেন। সে তমাশ্রীকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে। অন্যান্য দিনের মত মঙ্গলাবার সন্ধায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল তমাশ্রী। সে বাড়ি থেকে প্রায় দুই শ’ মিটার দুরে পৌর এলাকার তারাপুর মন্দিরের নিকট পৌঁছলে, দুই মোটর সাইকেলে চেপে এসে অপহরণকারি সাদ্দাম সহ অপর চারজন জোড়পুর্বক তমাশ্রীকে মোটর সাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১২টার দিকে অপহরণকারি সাদ্দামের বাবা আব্দুস সামাদ ও সহযোগী সাব্বিরের বাবা মুরশিদ আলীকে আটক করে। এরিপোর্ট পাঠানো সময় পর্যন্ত অপহৃতাকে উদ্ধার ও অপহরণকারি ও তার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলাও হয়নি। এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্য মনিরুল ইসলাম বলেন, অপহৃতাকে উদ্ধারের তৎপরতা চলছে। তমাশ্রীর পরিবার মামলা করার ব্যাপারে এখনো আগ্রহী নয়। তবে মামলা করলে নেয়া হবে।
×