ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোহামেডান-মেরিনারের চার হকি কর্মকর্তা নিষিদ্ধ

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ২৭ নভেম্বর ২০১৮

মোহামেডান-মেরিনারের চার হকি কর্মকর্তা নিষিদ্ধ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে) অন্যান্য ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর চেয়ে একেবারেই আলাদা। না সেটা ইতিবাচক অর্থে নয়। এই ফেডারেশনের মতো এত হামলা, মামলা, ঝামেলা আর কোন ফেডারেশনে নেই। প্রতিশ্রুতি দিয়েও কোন কাজই যেন তারা ঠিকভাবে এবং ঠিক সময়ে করতে পারে না। মোটকথা, একটার পর একটা গ-গোল লেগেই আছে। আর গ-গোল ঠিকমতো সামাল বা নিয়ন্ত্রণও করতে পারে না। অথচ বছরের পর বছর গদি আঁকড়ে ধরে থেকে যান বাহফের ‘সুযোগ্য’ কর্মকর্তারা! এই কর্মকর্তারা যে কতটা কড়িৎকর্মা, সেটা আবারও নতুন করে প্রমাণ করলেন সোমবার। পাঁচ মাস ২০ দিন আগে একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছিল। অথচ সেই ঘটনার তদন্ত করে তার রায় তারা দিলেন এত দিন পরে! ঘটনা ঘটেছিল গত ৭ জুন। স্থান মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়াম। প্রিমিয়ার হকি লীগের চূড়ান্ত ম্যাচ। তাতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব মুখোমুখি হয়েছিল ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাবের। ওই ম্যাচে সৃষ্ট অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় বাহফে মোহামেডান ও মেরিনারের চার কর্মকর্তাকে ৫ বছর করে নিষিদ্ধ করেছে। সোমবার বাহফের এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় তেজগাঁওয়ের বিমান বাহিনীর ফ্যালকন হলে। সভায় মেরিনারের সাধারণ সম্পাদক হাসান উল্লাহ খান রানা, সদস্য নজরুল ইসলাম মৃধা, মোহামেডান হকি দলের ম্যানেজার আরিফুল হক প্রিন্স এবং সহকারী ম্যানেজার আসাদুজ্জামান চন্দনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়। হাসান উল্লাহ খান রানা, আরিফুল হক প্রিন্স এবং আসাদুজ্জামান চন্দনকে ৫ বছর নিষিদ্ধ এবং এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানা না দিলে অভিযুক্তরা আরও দুই বছর নিষিদ্ধ হবেন। এছাড়া নজরুল ইসলাম মৃধা নিষিদ্ধ হয়েছেন তিন বছরের জন্য। এছাড়া তাকে জরিমানাও করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ওই ম্যাচের টেকনিক্যাল কর্মকর্তা নাজিরুল ইসলাম নাজুকে ৩ বছর হকির কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া প্রিমিয়ার লীগে অংশ না নেয়ায় সাবেক চ্যাম্পিয়ন ঊষা ক্রীড়া চক্রকে প্রথম বিভাগ লীগে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। ফেডারেশনের আগের সভায় (গত ৩০ অক্টোবর) অসমাপ্ত ম্যাচটি ড্র ঘোষণা করেছিল। তাতে মোহামেডানকে চ্যাম্পিয়ন, আবাহনীকে রানার্সআপ এবং মেরিনারকে তৃতীয় ঘোষণা করা হয়। প্রিমিয়ার হকির ফাইনাল ম্যাচের আগ পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলে ৩৯ পয়েন্ট করে নিয়ে শীর্ষে ছিল ১৪ ম্যাচ খেলা মোহামেডান ও এক ম্যাচ বেশি খেলা আবাহনী লিমিটেড। আর ১৪ ম্যাচ খেলা মেরিনার্সের পয়েন্ট ছিল ৩৬। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফাইনাল ম্যাচটি বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র ছিল। তাই মোহামেডান ও মেরিনার্সকে এক পয়েন্ট করে দেয়া হয়। ফলে আগের ৩৯ পয়েন্টের সঙ্গে এক পয়েন্ট যোগ করে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মোহামেডান। আর ৩৯ পয়েন্টে থাকা আবাহনী রানার্সআপ এবং ৩৭ পয়েন্ট পাওয়া মেরিনার্স তৃতীয় হয়।
×