স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ লাখ লাখ রোহিঙ্গার কারণে দেড় বছর ধরে কষ্ট, দুর্ভোগ ও নানা রকমের হয়রানির শিকার হওয়ার পর অবশেষে সার্ভার সিস্টেম চালু হচ্ছে। প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকা কক্সবাজারে চার পৌরসভাসহ ৭১টি ইউনিয়নের সার্ভার সিস্টেম অবিলম্বে খুলে দেয়া হচ্ছে। সিভিল সোসাইটিজ ফোরাম কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে সার্ভার সিস্টেম অবিলম্বে খোলার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে।
গত বছরের ২৫ আগস্টের পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে আশ্রয় নেয় উখিয়া টেকনাফে। যেহেতু গামগঞ্জে ছড়িয়ে পড়া ছাড়াও কৌশলে বিদেশে পাড়ি দেয়া রোহিঙ্গাদের পুরনো অভ্যাস, সেহেতু রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন সনদ পাওয়া থেকে দূরে রাখতে বন্ধ করে দেয়া হয়কক্সবাজারের সার্ভার সিস্টেম। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে সার্ভার সিস্টেম বন্ধ থাকার কারণে জেলার চার পৌরসভাসহ ৭১টি ইউনিয়নে জন্ম ও মৃত্যুসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ সেবাদান বন্ধ রয়েছে। ফলে বিভিন্ন সনদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে নতুন ভোটার হওয়া, বিদ্যালয়ে ভর্তি, বিয়ে-শাদী, জায়গা-জমি ক্রয়-বিক্রয়সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড।
এতে রোহিঙ্গাদের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে স্থানীয় নাগরিকরা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সিভিল সোসাইটিজ ফোরাম বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি দেয়।
স্মারকলিপিতে বন্ধ সার্ভার সিস্টেম পুনরায় চালু করে জনগণকে চরম দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানানো হয়। এ বিষয়ে কক্সবাজার সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর এমএ বারী বলেন, জন্ম ও মৃত্যুসনদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন সেবা পাওয়া মানুষের নাগরিক অধিকার।
এ নাগরিক অধিকারগুলো বন্ধ রেখে দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে কষ্ট দেয়া হচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী বরাবরে দেয়া ওই স্মারকলিপি গ্রহণকালে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সার্ভার সিস্টেম অবিলম্বে খুলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর এমএ বারী, সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য যথাক্রমে- মাহমুদুল হক চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন, মকবুল আহমদ, বোরহান উদ্দিন আকন্দ, অধ্যাপক আনোয়ারুল হক, এ্যাডভোকেট আ জ ম মঈন উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কলিম ও হেলেনাজ তাহেরা প্রমুখ ওসময় উপস্থিত ছিলেন।
