ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভিকারুননিসার শিক্ষিকা হাসনা হেনার শুনানিতে বাগবিতণ্ড

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮

ভিকারুননিসার শিক্ষিকা হাসনা হেনার শুনানিতে বাগবিতণ্ড

অনলাইন রিপোর্টার ॥ গ্রেফতারের পর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির (প্রভাতী) বরখাস্ত শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে বুধবার বিকেলে রাজধানীর সিএমএম (মুখ্য মহানগর হাকিম) আদালতে নেয়া হয়। তাকে আদালতের হাজতখানায় রেখে শুরু হয় শুনানি। আদালতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত হন। তবে শুনানি শুরুর আগে আইনজীবী ও সাংবাদিক ছাড়া বাকিদের আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেয় পুলিশ। প্রথমে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতের কাছে হাসনা হেনাকে জামিন দেয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। তাদের পরপরই কথা বলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। তবে শুনানির শেষের দিকে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হট্টগোল হয়। শুনানিতে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট হেমায়েত উদ্দিন হিরণ আদালতকে বলেন, অরিত্রি কোনো অন্যায় করলে তাকে কাউন্সিলিং করতে পারতো। কিন্তু তাকে টিসি দেয়া কোনো সমাধান নয়। এ ছাড়া এটা সবাই জানে যে ভিকারুননিসায় ভর্তি হতে কমপক্ষে এক লাখ টাকা লাগে। এরপরও স্টুডেন্টদের কোনো কথা বলতে দেয়া হয় না। আমার সন্তান ক্লাস-ওয়ান থেকে ভিকারুননিসায় পড়ে। সেখানকার দারোয়ান থেকে শুরু করে শিক্ষকরা বিশাল পণ্ডিত। সারাবিশ্ব এই ঘটনায় (অরিত্রির আত্মহত্যা) হতভম্ব হয়েছে। তিনি বলেন, ভিকারুননিসার ভর্তি দুর্নীতির কথা সবাই জানে। ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ। অরিত্রির মৃত্যুর প্ররোচনাকারী শিক্ষক নামে পাষণ্ড, শিক্ষক নামে কলঙ্ক। এরপরই দুইপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উচ্চস্বরে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। তারা হাসনা হেনার ওপর বাদীপক্ষের আইনজীবীর ঢালাও বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। দুইপক্ষের কথা কাকাটির একপর্যায়ে জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
×