ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তের স্বজনদের রক্তের টানে মিলন মেলা

প্রকাশিত: ০২:২১, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮

ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তের স্বজনদের রক্তের টানে মিলন মেলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ ভারতের সীঁমান্তের কাঁটাতারের বেড়া আটকাতে পারেনি দুই বাংলার হাজার-হাজার স্বজনের রক্তের টান। আজ শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও জেলার কোঁচল ও চাঁপাসার এবং ভারতের নাড়গাঁও ও মাকারহাট সীমান্তের তাঁরকাটার এপার-ওপারে চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দুই বাংলার হাজার-হাজার মানুষের রক্তের টানে উপস্থিতি যেন মিলন মেলায় পরিণত হয়। বর্ষ পুঞ্জিকা অনুযায়ী হিন্দু সম্প্রদায় প্রতি বছর শ্রী-শ্রী জামর কালির জিউ (পাথরকালী) পুঁজা উপলক্ষে মেলা উদযাপন করে থাকেন। আর এ পুঁজা উপলক্ষে প্রতি বছরে এই দিনে দূরদূড়ান্ত থেকে দু-দেশের স্বজনরা ভীড় জমায় ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা চাপাসার ও রানীশংকৈল উপজেলার কচল সীমান্তের ৩৪৫ ও ৩৪৬ নং পিলার এলাকায় । প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শুক্রবার সকাল থেকে দূরদূড়ান্ত থেকে দু-দেশের স্বজনরা সীমান্তে সমবেত হতে থাকে। স্বজনদের সাথে দেখা ও কথা বলার জন্য সকাল থেকে সীঁমান্তের এপার-ওপারে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায় দু-দেশের হাজার হাজার মানুয়ের ভালোবাসা আদান প্রদানের দৃশ্য। শেষ পর্যন্ত দুপুর ১২ টায় স্বজনদের ধরে রাখতে পারেনি দু-দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী। তাঁরকাটার গেট না খুললেও অনানুষ্ঠানিকভাবেই তাঁরকাটার এপারে-ওপারে দাঁড়িয়ে স্বজনদের দেখা ও কথা হয় একে অপরের সঙ্গে। আদান-প্রদান হয় নানা রকমের খাদ্য ও পণ্য সামগ্রী। হরিপুর থানার অফিসার ইনচাজ আমিরুজ্জামান বলেন, কড়া প্রহরা সত্ত্বেও অনেকে তাঁরকাটার এপার-ওপারে দাঁড়িয়ে অনেকে আত্মীয়ের সাথে কথা বলেছেন ও খাদ্য বিনিময় করেছেন। এব্যাপারে শ্রী-শ্রী জামর কালির জিউ (পাথরকালী) পুঁজা কমিটির সভাপতি নগেন কুমার পাল বলেন, এবার স্থানীয় প্রশাসন, বিজিবি ও বিএসএফ’র পক্ষ থেকে সীমান্তে কঠোর নজরদারী থাকা সত্বেও অন্য বছরের তুলনায় এবার দু-দেশের স্বজনরা সহজেই তাঁরকাটার এপার-ওপারে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন ও খাদ্য বিনিময় করেছেন।
×