ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের টেস্ট সিরিজ জয়

প্রকাশিত: ০২:৫৬, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের টেস্ট সিরিজ জয়

অনলাইন ডেস্ক ॥ আবুধাবিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে চরম নাটকীয়তার পর মাত্র ৪ রানে হেরেছিল পাকিস্তান। জয়ের জন্য মাত্র ১৭৬ রানও তুলতে পারেনি তারা। অলআউট হয়েছিল ১৭১ রানে। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি দুবাইতে খেলতে গিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ইনিংস ও ১৬ রানের ব্যবধানে হারিয়ে আবুধাবিতে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়ে নিলো পাকিস্তান। তবে যে মাঠে মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে হেরেছিল, সেই একই মাঠে কিউদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে এসে উল্টো গো হারা হারলো পাকিস্তান। ব্যাটসম্যানদের নিদারুণ ব্যর্থতার কারণে এই টেস্টে নিউজিল্যান্ডের কাছে ১২৩ রানের ব্যবধানে হেরে গেছে সরফরাজ আহমেদের দল। একই সঙ্গে সিরিজটাও হেরে বসলো পাকিস্তান, ২-১ ব্যবধানে। ১৯৬৯ সালের পর, অর্থ্যাৎ ৪৯ বছর পর নিউজিল্যান্ডের কাছে হোম সিরিজ হারলো পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য পাকিস্তানকে ২৮০ রানের লক্ষ্য বেধে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসন এবং হেনরি নিকোলসের জোড়া সেঞ্চুরির ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৫৩ রানের বড় স্কোর গড়ে। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে ছিল কিউইরা। যে কারণে জয়ের জন্য সরফরাজ আহমেদের দলের প্রয়োজন হয় ২৮০ রান। জবাব দিতে নেমে একমাত্র বাবর আজমছাড়া পাকিস্তানের আর কারও ব্যাট কথা বলেনি। ১১৪ বল খেলে তিনি সর্বোচ্চ ৫১ রান করে আউট হন। ২৮ রান করেন সরফরাজ। ২২ রান করে ইমাম-উল হক। যার ফলে ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান এবং হার মানে ১২৩ রানের বড় ব্যবধানে। মূলত কিউই বোলার টিম সাউদি, অ্যাজাজ প্যাটেল এবং উইলিয়াম সোমারভিলের কাছেই নাস্তানাবুধ হতে হয়েছে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের। তিনজনই নেন সমান ৩টি করে উইকেট। বাকি উইকেটটি নেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। প্রথম ইনিংসে আজহার আলি এবং আসাদ শফিক- দু’জনই সেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে পুরোপুরি নিষ্প্রভ এ দু’জনের ব্যাট। আজহার আলি আউট হন ৫ রান করে। আসাদ শফিক তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ৫৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। এরপর বাবর আজম আর সরফরাজ আহমেদ মিলে রানকে ৯৮ এর কোটায় নিয়ে যাওয়ার পর আবারও অভিষিক্ত বোলার উইলিয়াম সোমারভিলের হাতে বিচ্ছিন্ন হতে হয় এই জুটিকে। ২৮ রান করে নিউই এই স্পিনারের বলে বোল্ড হয়ে যান সরফরাজ। এরপর বিলাল আসিফ এসে ১২ রান করে আরেকটা জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এটাও ব্যর্থ। আউট হয়ে গেলেন তিনি সাউদির বলে। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন বাবর আজম। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরিটা পূরণ হওয়ার পর তিনি আর টিকতে পারলেন না। অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে উইকেট দিয়ে আসতে বাধ্য হলেন। ১৫৬ রানের মাথায় হাসান আলি আউট হতেই বিজয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। এই জয়ের সঙ্গে সিরিজটাও যে জিতে নিয়েছে তারা! অসাধারণ সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। আর পুরো সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের জন্য সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন ইয়াসির শাহ।
×