ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কেশবপুরে এবার মেম্বার নিখোঁজ ॥ পরিবারে কান্নার রোল

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮

 কেশবপুরে এবার মেম্বার নিখোঁজ ॥ পরিবারে কান্নার রোল

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ কেশবপুরের মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং বায়সা ওয়ার্ডের মেম্বার সাইফুর রহমানের খোঁজ মিলছে না। গত ২৭ নবেম্বর দুপুর ১২টার দিকে তিনি ঢাকার মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে ঢোকেন। ওই দিন রাতে তার মায়ের সঙ্গে একবার মোবাইল ফোনে কথা হয়। তারপর থেকে ফোন বন্ধ পাচ্ছে তার পরিবার। এরপর তার কোন সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারে চলছে কান্নার রোল। সাইফুর রহমানের মা আকলিমা বেগম জানান, ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে এক ব্যক্তি ফোন করে সাইফুরকে জরুরীভাবে ঢাকায় যেতে বলেন। গত ২৬ নবেম্বর রাতে ওই ইউনিয়নের লতিফ মেম্বারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ঢাকায় যান। ২৭ নবেম্বর দুপুর ১২টার দিকে তিনি মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে ঢোকেন। রাতে তার সঙ্গে একবার মোবাইল ফোনে কথা হয়। এরপর তার আর খোঁজ মিলছে না। গত বুধবার ঢাকা মহানগর ডিবি অফিসের নম্বর যোগাড় করে তিনি কথা বলেছেন। সেখানকার এক অফিসার তাকে জানিয়েছেন সাইফুর নামে কেউ ওই অফিসে নেই। তারপর থেকে তাদের পরিবারের সকলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। মেম্বার আবদুল লতিফ গাজী বলেন, ২৭ নবেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ে যান। এরপর সাইফুর এক কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তাদের ডিবি অফিসের সামনে থাকতে বলায় তারা ডিবি অফিসের মূল ফটক সংলগ্ন চালাঘরে অপেক্ষা করেন। কিছুক্ষণ পরে ভেতর থেকে একজন লোক এসে সাইফুরকে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় তিনিসহ আরও দুই ব্যক্তি সেখানে অপেক্ষা করছিলেন। সন্ধ্যার পর তারা চলে আসে। এরপর আর কোন যোগাযোগ হয়নি। তাকে আদালতেও দেয়নি, ছেড়েও দিচ্ছে না। মজিদপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুর রহমান গাজী বলেন, সাইফুরকে ডিবির কর্মকর্তা পরিচয়ে একজন বারবার ফোন করে ঢাকায় যেতে চাপ দিলে তিনি আরেক মেম্বার আবদুল লতিফ গাজীকে সঙ্গে দিয়ে তাকে ঢাকায় পাঠান। একদিন পর আবদুল লতিফ গাজী কেশবপুরে ফিরে আসেন। এরপর থেকে নানাভাবে যোগাযোগ করে সাইফুরের খোঁজ জানতে পারেননি। তবে ডিবির হেফাজত থেকে ছাড়া পাওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক ব্যক্তি গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তাকে ফোন করে জানিয়েছেন, তারাও তিনজন রাজমিস্ত্রি ঢাকায় ডিবি অফিসে সাইফুরের সঙ্গে ছিলেন। তাদের ছেড়ে দেয়ার আগে সাইফুর কয়েকটি ফোন নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন। নিখোঁজ সাইফুরের চাচাত ভাই নূরুল্লাহ বলেন, নিহত চেয়ারম্যান আবু বকর আবুর সঙ্গে বিএনপির রাজনীতি করতেন সাইফুর। এবারই প্রথম মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। তার চাচা আব্দুল গফফার ফকিরের দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে সাইফুর সবার বড়।
×