ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আপীল শুনানি ॥ দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৮৪ জন

প্রকাশিত: ০৫:১০, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮

আপীল শুনানি ॥ দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৮৪ জন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইসির দ্বিতীয় দিনের আপীল শুনানিতে ৮৪ প্রার্থী পেয়েছেন বৈধতা। এদিনের শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন হবিগঞ্জ-১ আসনের গণফেরামের প্রার্থী রেজা কিবরিয়া, বিএনপির রশিদুজ্জামান মিল্লাত এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী সোহেল রানাসহ (মাদুস পারভেজ) দলের একাধিক প্রার্থী। তবে শুনানিতে ভাগ্য খোলেনি জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিল হাওলাদারের। শুক্রবার শুনানিতে ঢাকা-২ আসনের প্রার্থী আমান উল্লাহ আমান ও ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী আফরোজা আব্বাসসহ ৭ জনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। এই নিয়ে দুদিনের শুনানি শেষে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ১৬৪ জন। শুনানিতে নৌকার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বরিশালের পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে প্রার্থিতা বাতিলের জন্য যে আবেদন করা হয়েছিল শুনানি শেষে তা নাকচ করে দিয়েছে ইসি। শুক্রবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ায় প্রার্থীদের আবেদনের ওপর শুনানি করে নির্বাচন কমিশন। দ্বিতীয় দিনে ১৫০ জনের আপীল শুনানি করা হয়। এই নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত মোট ৩১০ জনের শুনানি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ১৬৪ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছেন। অপরদিকে ১৩৯ জনের আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু প্রার্থীর বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত পেন্ডিং রাখা হয়েছে। আজ শনিবার ইসির আপীল শুনানি শেষ হচ্ছে। এদিনের তালিকায় ৩১১ থেকে ৫৪৩ জনের আপীল নিষ্পত্তি করা হবে। এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াও রয়েছে। আজ কাদের সিদ্দিকীসহ কয়েক হেভিওয়েট প্রার্থীরও আপীল নিষ্পত্তি করা হবে। শুক্রবারের শুনানিতে হবিগঞ্জ-১ আসনের গণফোরামের প্রার্থী রেজা কিবরিয়া নির্বাচন কমিশনে আপীল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। গত ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে ঋণখেলাপীর অভিযোগে রেজা কিবরিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয়া হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তার পক্ষ থেকে বলা হয়, সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড বিভাগ ও ঢাকা ব্যাংক থেকে পাঠানো অভিযোগের ভিত্তিতে রেজার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। রেজা কিবরিয়া ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপীল করলে শুক্রবার তার আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে রেজা সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে ক্রেডিট কার্ডে ঋণখেলাপীর অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কখনও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেননি, তার ঋণও বকেয়া নেই। শুনানিতে ইসি আমার প্রতি ন্যায়বিচার করেছে। আমার ক্রেডিট কার্ডের কোন বিল বকেয়া ছিল না। ক্রেডিট কার্ডের ৬ হাজার টাকার একটি চার্জ বাকি ছিল। বিল বকেয়ার জন্য প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে, এই চার্জের জন্য নয়। এ কারণে আমি ইসিতে ন্যায়বিচারের আশায় আবেদন করেছিলাম। এ জন্য আমি কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদ পারভেজ (চিত্রনায়ক ও পরিচালক সোহেল রানা) বরিশাল-২ আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ৪ হাজার ১৪৭ টাকার বিদ্যুত বিল বয়েয়া থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় রিটার্নিং কর্মকর্তা। এই বিল পরিশোধ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপীল করেন তিনি। শুক্রবার তার বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে ইসি তার আপীল মঞ্জুর করে। ফলে তিনি এখন এই আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথের মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে আপীল করেছিলেন মেজবাহ উদ্দিন সরকার ও মাহাবুবু আলম। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন তাদের আপীল নামঞ্জুর করলে পঙ্কজ দেবনাথের প্রার্থিতা টিকে যায়। আপীলকারীদের অভিযোগ ছিল, ২০০৭ সালে একটি দুর্নীতি মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথের ১৩ বছরের সাজা হয়েছিল। সেই তথ্য তিনি মনোনয়নপত্রে গোপন করেছেন। শুনানি শেষে পঙ্কজ দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছিল সেই মামলায় খালাস পেয়েছি। আপীল বিভাগের ফুল বেঞ্চে লিভ টু আপীল গ্রহণ করা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে ১/১১ এর কুশীলবরা যে অভিযোগ এনেছিল, তা ভিত্তিহীন, অসত্য, মিথ্যা। সর্বোচ্চ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে আমি নিরপরাধ। কিন্তু হাইকোর্টের রায় গোপন করে আমার বিরুদ্ধে আপীল করেছেন উনারা। আমার আইনজীবীরা সত্যটা তুলে ধরতে পেরেছে, ফলে আমি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। ভোলা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ এনে তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলম। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন তা নামঞ্জুর করলে জ্যাকবের ভোটের পথে বাধা কেটে যায়। এদিকে ঢাকা-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও চেয়ারপাসূনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের মনোনয়নের ওপর শুনানি হলেও সিদ্ধান্ত দেয়নি নির্বাচন কমিশন। পরে এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে বলে ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। একইভাবে ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির প্রার্থী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের মনোনয়নও স্থগিত রাখা হয়েছে। শনিবার তার বিষয়ে ফের শুনানি হবে। শুনানি শেষেই সিদ্ধান্ত দেবে নির্বাচন কমিশন। আফরোজা আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। এর আগে গত ২৮ নবেম্বর সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় আমানউল্লাহ আমান এবং ঋণখেলাপীর কারণে আফরোজা আব্বাসের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে দেয় ঢাকা জেলার বিভাগীয় কর্মকর্তা। এদিকে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের আপীল আবেদন নামঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুক্রবার শুনানি শেষে ঋণখেলাপীর অভিযোগ থাকায় তার আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়। এর আগে গত ২ ডিসেম্বর ঋণখেলাপের কারণ দেখিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল করলে শুক্রবার তার বিষয়ে শুনানি করে ইসি। আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে বেপরোয়া মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগে সম্প্রতি দলের মহাসচিবের পদ হারাতে হয় রুহুল আমিন হাওলাদারকে। এদিকে ইসির আপীল শুনানিতে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুক্রবার আপীল শুনানি শেষে আগের সিদ্ধান্তই বহাল রাখে ইসি। আইন অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী আসনের মোট ভোটারের ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন থাকতে হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী ইমরান এইচ সরকারের এ বিষয়ে ঘাটতি রয়েছে। তাই জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল বলে ঘোষণা করেন। কুড়িগ্রাম-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ইমরান এইচ সরকার। শুক্রবারের আপীল শুনানিতে বৈধতা পেলেন যারা ॥ দ্বিতীয় দিনের মতো শুক্রবার নির্বাচন কমিশন ১৫০ প্রার্থীর আপীল শুনানি করেছে। আপীলে এদিন যারা বৈধতা পেয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে মোঃ জিয়া উদ্দিন, ৪ আসনে মোঃ মুসলিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৮ আসনে হাসান মাহমুদ চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৭ আসনে আবু আহমেদ হাসনাত, ব্র্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে আবদুল খালেক, কুমিল্লা-১ আসনে আলতাফ হোসাইন, চাঁদপুর-৫ আসনে খোরশেদ আলম খুশু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সাইফুল্লাহ (হুমায়ুন মিয়া), বরিশাল-২ আসনে এ কে ফাইয়াজুল হক, পটুয়াখালী-১ আসনে মোঃ আবদুর রশিদ, বরিশাল-১ আসনে বাদশা মিয়া, বরগুনা-১ আসনে মোঃ মতিয়ার রহমান তালুকদার, ভোলা-১ আসনে গোলাম নবী আলমগীর, বরিশাল-২ আসনে মাসুদ পারভেজ, ঝালকাঠি-১ আসনে বজলুল হক হারুন, পটুয়াখালী-২ আসনে শহিদুল আলম তালুকদার, বরিশাল-৬ আসনে নাসরিন জাহান রতœা, বরিশাল-৪ আসনে পঙ্কজ দেবনাথ, পিরোজপুর-৩ আসনে মোঃ রুস্তম আলী ফারাজী, বরিশাল-২ আসনে সৈয়দ রুবিনা আক্তার, ভোলা-৪ আসনে নাজিম উদ্দিন আলম, বরিশাল-৪ আসনে মাহবুবুল আলম। ঢাকা-১৬ আসনে আলহাজ একে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা-৩ আসনে মোঃ সুলতান আহম্মদ খান, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে মোঃ সালাউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে মোহাম্মদ মুছা খান, টাঙ্গাইল-৮ আসনে মোঃ আবদুল লতিফ মিয়া, নরসিংদী-২ আসনে জাইদুল কবির, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল খান, গাজীপুর-৩ আসনে মোঃ জহিরুল হক ম-ল বাচ্চু, মানিকগঞ্জ-২ আসনে মঈনুল ইসলাম খান, শরীয়তপুর-৩ আসনে সুশান্ত ভাওয়াল, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে নুরুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে মোঃ আবদুল্লাহ, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে ডাঃ এনামুল হক ইদ্রিস, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, টাঙ্গাইল-৬ আসনে আবুল কাশেম, টাঙ্গাইল-৭ আসনে সৈয়দ মজিবর রহমান, শরীয়তপুর-২ আসনে মোঃ বাদল গাজী, মাদারীপুর-১ আসনে মোঃ শাহনেওয়াজ, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন খোকা, টাঙ্গাইল-৬ আসনে ব্যারিস্টার এম আশফাকুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-৬ আসনে মামুনুর রহমান, টাঙ্গাইল-৩ আসনে এস এম চান মিয়া, মাদারীপুর-২ আসনে আলামিন মোল্লা, ঢাকা-৮ আসনে এসএম সরোয়ার, মাদারীপুর-১ আসনে নাদিরা আক্তার ও ঢাকা-১ আসনে ফাহিমা হোসাইন জুবলি। দ্বিতীয় দিনে শুনানিতে যাদের আবেদন খারিজ হলো॥ এরা হলোÑ চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে সামির কাদের চৌধুরী, ফেনী-৩ আসনে আবদুল লতিফ জনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মোঃ শাহজাহান, কুমিল্লা-২ আসনে আব্দুল মজিদ, বরিশাল-৬ আসনে ওসমান হোসেইন, পিরোজপুর-৩ আসনে ডাঃ সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস, ঝালকাঠি-১ আসনে মোঃ মনিরুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ আসনে রুহুল আমিন হাওলাদার, পটুয়াখালী-২ আসনে মিজানুর রহমান খান, ভোলা-৪ আসনে এম এ মান্নান হাওলাদার, ঝালকাঠি-১ আসনে মোঃ শাহজালাল শামীম, পিরোজপুর-১ আসনে মনিমোহন বিশ্বাস, ঝালকাঠি-১ আসনে ইয়াসমিন আক্তার পপি ও ভোলা-২ আসনে হুমায়ুন কবির। নরসিংদী-২ আসনে আলতামাস কবীর, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে সুরঞ্জন ঘোষ, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মোঃ আম্মান খান, শরীয়তপুর-১ আসনে আলমগীর হোসেন, ঢাকা-৮ আসনে আরিফুর রহমান, মানিকগঞ্জ-১ আসনে আতোয়ার হোসেন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে মোঃ আনিসুজ্জামান, ঢাকা-১৭ আসনে মোঃ আরিফুজ্জামান খোকন, ঢাকা-৮ আসনে মেজর (অব) মামুনুর রশীদ, গোপালগঞ্জ-১ আসনে শামসুল আলম খান চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মোঃ মনিরুজ্জামান নয়ন ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে রেহান আফজাল। আপীল শুনানীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা, অন্য চার কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত থেকে শুনানি করেন।
×