ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকৌশলী এস. এ. এহ্সান রাজন;###;প্রভাষক, কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ;###;খুলনা পাবলিক কলেজ, খুলনা।;###;ই-মেইলঃ [email protected];###;ওয়েবঃ www.ahsanrajon.wordpress.com

উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পড়াশোনা -বিষয় ॥ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

প্রকাশিত: ০৭:১২, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পড়াশোনা -বিষয় ॥ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

কম্পাইলারের অংশসমূহ একটি কম্পাইলার তিনটি অংশ নিয়ে কাজ করে ফ্রন্ট এন্ড (Front End)– সিন্ট্যাক্স ও সিমানটিক্স (Syntax & Semantics) পরীক্ষা, ডেটা টাইপ পরীক্ষার কাজ করে এবং মিডল এন্ডের ব্যবহারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন ফরম্যাটে কোড রূপান্তরিত করে। মূলত lexical analysis, syntax analysis, and semantic analysis অংশগুলির সমন্বয়ে ফ্রন্ট এন্ড গঠিত। মিডল এন্ড (Middle End)– অপটিমাইজেশন, অপ্রয়োজনীয় কোড বা কোড দূর করা, ধ্রুবক মান স্থাপন, লুপিং এর সনাক্তকরণ এবং প্রয়োজনীয় বিশেষায়ন সম্পন্ন করে থাকে এবং ব্যাক এন্ডের ব্যবহারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন ফরম্যাটে কোড রূপান্তরিত করে। ব্যাক এন্ড (Back End)– একটি প্রোগ্রাম দ্রুততম সময়ে নির্বাহ স¤পন্ন করার জন্য প্রসেসিং ইউনিট এবং প্রসেসর রেজিস্টারসমূহ ও মেমরী বন্টন করে থাকে। কস্পাইলারের প্রধান কাজসমূহ উৎস প্রোগ্রাম বা সোর্স প্রোগ্রামের স্টেটমেন্টসমূহকে অবজেক্ট প্রোগ্রাম তথা মেশিন ভাষায় একবারে রূপান্তর করা সংশ্লিষ্ট সাব-রুটিন এর সাথে সংযোগ সাধন করা (লিংক করা)। প্রোগ্রামের ত্রুটি নির্নয় করা এবং ত্রুটির তালিকা প্রস্তুত করে তা প্রদর্শন করা। প্রধান মেমরীতে প্রয়োজনীয় স্মৃতি বন্টনের (Memory Allocation) ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনানুযায়ী প্রোগ্রামের প্রিন্ট রূপ সরবরাহ করা। কম্পাইলারের উল্লেখযোগ্য সুবিধাসমূহ প্রোগ্রামে কোন ভুল থাকলে তা ক¤পাইলার একসাথে প্রদর্শন করে। কম্পাইলার সম্পূর্ণ প্রোগ্রামটিকে একবারে অনুবাদ করে ফলে প্রোগ্রাম নির্বাহের সার্বিক গতি দ্রুততর হয়। ক¤পাইলারের মাধ্যমে একবার উৎস প্রোগ্রাম অবজেক্ট প্রোগ্রামে রূপান্তরিত হলে তা নির্বাহের জন্য পুনরায় ক¤পাইল করার প্রয়োজন হয় না। প্রধান মেমরীতে প্রয়োজনীয় স্মৃতি বন্টনের (Memory Allocation) ব্যবস্থা করা। ডিবাগিং (Debugging) বা প্রোগ্রামের ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ প্রদান করে। লিংকার ও লোডারের সমন্বয় সাধিত হয়। প্রয়োজনানুযায়ী প্রোগ্রামের প্রিন্ট রূপ পাওয়া সম্ভব। কম্পাইলারের উল্লেখযোগ্য অসুবিধা বা সীমাবদ্ধতাসমূহ কম্পাইলার প্রোগ্রামের ভুলগুলি একসাথে প্রদর্শন করে বলে প্রোগ্রাম সংশোধনে বেশি সময়ের প্রয়োজন। অবজেক্ট কোডে রূপান্তরের সময়ে কম্পাইলার মেমরীতে জায়গা দখল করে। ডিবাগিং ও টেস্টিং এর ক্ষেত্রে কম্পাইলার ধীরগতিসম্পন্ন।
×