ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এবার জনগণ ব্যলটের মাধ্যমে ধানের র্শীষের বিরুদ্ধে জবাব দিবে ॥ তোফায়েল

প্রকাশিত: ২২:০১, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

এবার জনগণ ব্যলটের মাধ্যমে ধানের র্শীষের বিরুদ্ধে জবাব দিবে ॥ তোফায়েল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥ ভোলা-১ আসনের প্রার্থী ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো ২০০১ এর পর মানুষের উপর সিমাহীন অত্যাচার করেছিলো। গ্রামে গঞ্জের মানুষ সেই অত্যাচারের কথা ভূলে নাই। এবার জনগণ ব্যলটের মাধ্যমে ধানের র্শীষের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে তাদের যে নির্যাতন,তাদের যে অত্যাচার, মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠনের বাংলাদেশের মানুষ তার জবাব দেবে। আজ সোমবার সকালে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক দলীয় বিভিন্ন প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ করেন। এ সময় ভোলা-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদেও হাতে দলীয় নৌকা প্রতীকের কাগজ তুলেদেন রির্টানিং অফিসার। এছাড়ার ভোলা জেলার ৪টি আসনের অন্যান্য আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন,জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীদের প্রতীক প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আজ থেকে আমাদেও নির্বাচনী প্রচার শুরু হলো। জনগনের কাছে যাব। এখানে পানি সম্পাদ মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী ছিলো। তারা নদী ভাঙ্গন রোধে কোন চেষ্টা করেনি। আমিসহ ৪ জন এমপি আলী আজম মুকুল,নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন,আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব স্ব স্ব এলাকায় সব চেয়ে বড় সমস্যা নদী ভাঙ্গন রোধ করেছি।আমরা আশা করি ভোলায় ৪টি আসনে আবার আওয়ামীলীগ বিজয়ী হবে এবং প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও সরকার গঠন করবে। তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, আমরা ২০০৮ সনের নির্বাচনের সময় দিন বদলের সনদ দিয়েছিলো। এবারও আমরা নির্বাচনী অঙ্গীকার যে ইস্তেহার দিবো তা ঐতিহাসিক। কারন ২০২০ সালে জাতির জনন বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিক। ২০২১ সাল স্বাধীনতার ৫০ বছর সুবর্ণজন্তী। এটাকে সামনে রেখে আমাদের ইস্তেহার সাজানো হয়েছে। আজ বাংলাদেশ সল্প উন্নয়ন দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তর হতে চলেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা পৃথিবীর মধ্যে প্রাইজ ওয়াটার হাউজ কুপারের রিচার্স অনুসারে ২৮তম অর্থনৈতিক দেশ হিসাবে ও এইচ আরবিসি রিচার্স অনুসারে ২৬ তম অর্থনীতি আমাদের এ কথাগুলো থাকবে। এবং প্রধান মন্ত্রীর যে স্বপ্ন গ্রামকে শহর করা সে ব্যপারে আমরা চিত্র তুলে ধরবো। ইতোমধ্যে গ্রাম শহরে রুপান্তরিত হয়েছে। এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। রাস্তঘাট সব পাকা মনে হয় যেন শহর। ইস্তেহারে ঐতিহাসিক কতগুলো সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহন করেছি। মন্ত্রী আরো বলেন, ভোলা এক সময়ে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যেত। ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে ভোলাকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছে। পাকিস্তান আমলে ভোলা একটিও পাঁকা রাস্তা ছিলো না এখন সব রাস্তা পাঁকা হয়েছে। যে কোন মানুষ তার বাড়িতে গাড়িতে করে যেতে পারে। ভোলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। ভোলার শত ভাগ মানুষ এখন বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে। এছাড়াও আমার যে স্বপ্ন ভোলা-বরিশাল ব্রিজ সেটিও খুব দ্রুত করা হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নয়ন তা আন্তজার্তিকভাবে স্বৃকিত। আজকে বাংলাদেশ কে বলা হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের রোল ডেল। একটি সরকার যদি বারবার ধারাবাহিক ভাবে থাকে যে উন্নয়ন হয় তার প্রধান শেখ হাসিনা তার প্রমান দিয়েছে। তিনি যদি আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কা বিজয়ী হয়ে প্রধান মন্ত্রী পদে অলঙকৃত হন তা হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন যে কোথায় যাবে তা এই মুহুর্তে বলে বুঝানো যাবেনা। এসময় উপস্থিত ছিলেন,সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন,জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এনামুল হক আরজু,সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।
×