ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জামালপুরে আ.লীগ-বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৭, আটক ৫

প্রকাশিত: ০২:১২, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

জামালপুরে আ.লীগ-বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৭, আটক ৫

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর ॥ জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সোমবার দুপুরে এক সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৭ জন আহত এবং বিএনপি সমর্থক পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর জামালপুর থেকে মোটরসাইলের বহরে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ ইউনিয়নের দুরমুঠ বাজারে হযরত শাহ কামালের (রহ:) মাজার জিয়ারত করতে যাচ্ছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাদের বহরটি দুরমুঠ বাজারে ঢুকতেই এ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের সমর্থক স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা নৌকা প্রতীকের স্লোগান ধরে মোটরসাইকেলের বহরে বাঁধা দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৭ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক মেলান্দহ উপজেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক রুহিত আমীর, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মিলন, দুরমুঠ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এস এম ইমরান ও সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য তৌহিদুর রহমান পান্থকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থীর সমর্থক অন্তত ১০জন নেতাকর্মী সামান্য আহত হয়েছেন বলে তারা দাবি করেছেন। এ ঘটনায় মেলান্দহ থানা পুলিশ বিএনপি প্রার্থীর সমর্থক দুরমুঠ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. সাহেব আলী ও জিয়াউল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক হযরত আলী আন্না, রুখনাই ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন ও দুরমুঠ ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য মোতালেব হোসেনকে আটক করেছে। বিএনপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল এ হামলা প্রসঙ্গে জনকণ্ঠকে বলেন, বিএনপির গণজোয়ারে ঈর্শান্বিত হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গায়ে পড়ে ঝগড়া করার জন্য এ হামলা করেছে। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা না হলেও পুলিশ আমাদের পাঁচজন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আমি আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থক দুরমুঠ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ খালেকুজ্জামান জুবেরী অভিযোগ অস্বীকার করে জনকণ্ঠকে বলেন, আমি এবং আমার ছেলেসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী হেটে আমার বাসার দিকে যাচ্ছিলাম। এমন সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের কয়েক শ’ মোটরসাইকেলের বহর থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর তারাই হামলা চালিয়ে এখন তারা মিথ্যাচার করছে। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হবে। এদিকে মেলান্দহ থানার ওসি গাজী মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, দুরমুঠে দুই দলের মধ্যে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজন বিএনপি সমর্থককে আটক করা হয়েছে। দুরমুঠে হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
×