ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নাজমুল হক

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নাজমুল হক

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ অবশেষে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাসদ একাংশের নেতা মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক প্রধান এমপি। তিনি পঞ্চগড়-১ আসনে নৌকা প্রতীকের জন্য মনোনয়ন টিকেট না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীকেই মহাজোটের পক্ষে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। কিন্তু হঠাৎ করে ইউটান দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষবেলায় রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। আর এতে করে চাচা-ভাতিজার মধ্যে ভোটের যে লড়াই হওয়ার কথা ছিল তার অবসান হলো। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মজাহারুল হক প্রধান ও জাসদের মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক প্রধান সম্পর্কে চাচা ও ভাতিজা। চাচা মজাহারুল হক প্রধান নৌকা প্রতীক নিয়ে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক স্পীকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আর ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেয়া (জাতীয় পার্টি এরশাদ) আসনটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবু সালেককে (লাঙ্গল প্রতীক) পরাজিত করে ভাতিজা মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক প্রধান মশাল প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পঞ্চগড়-১ আসন থেকে জাসদের প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় মূলত নৌকা, ধানের শীষ ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে মহাজোট আর ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে ভোটযুদ্ধ হবে। তবে, এবার লড়াইটা হবে নবীন আর প্রবীণে। ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী পরিষদের সদস্য বারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, মহাজোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান। ২০০৮ সালেই মজাহারুল হক প্রধানই বর্তমান নির্বাচনী প্রতিপক্ষ ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরের বাবাকে ধরাশায়ী করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাবার পরিবর্তে এবার ছেলে হয়েছেন প্রার্থী।
×