ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রতীক বরাদ্দের পর পাল্টে গেছে খুলনার দৃশ্যপট

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

প্রতীক বরাদ্দের পর পাল্টে গেছে খুলনার দৃশ্যপট

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ সোমবার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের পরই পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। জেলা রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক প্রতীক পেয়েই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার ঝুলানো শুরু হয়েছে। গণসংযোগও শুরু করেছেন বিভিন্ন দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। যেসব আসনে দলীয় একক প্রার্থী আগে থেকেই নির্ধারিত ছিলেন তারা পোস্টার হ্যান্ডবিল তৈরির কাজেও এগিয়ে ছিলেন। প্রতীক পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচারে তারা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। এতদিন সাংগঠনিক কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে উজ্জীবিত হয়ে প্রার্থীসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রচারে নেমে পড়েছেন। খুলনা জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পর দুপুর ২টার পর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা পোস্টার ঝুলানো, লিফলেট, হ্যান্ডবিল বিতরণ ও গণসংযোগ করতে পারবেন। দুপুর ২টার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইকে প্রচার করতে পারবেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সভা সমাবেশ করতে পারবেন না, পথসভা করতে পারবেন। আওয়ামী লীগ খুলনা মহানগর শাখার দফতর সম্পাদক মুন্সী মাহবুব আলম সোহাগ জানান, খুলনা-২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ সালাহ উদ্দীন জুয়েলের পক্ষে নগরীর রূপসা ট্রাফিক মোড়ে বিকেল তিনটায় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে আনুষ্ঠানিক জনসংযোগ ও প্রচার শুরু হয়। অপরদিকে বিএনপি খুলনা জেলা শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা জানিয়েছেন, খুলনা-৪ আসন ( রূপসা- তেরখাদা- দিঘলিয়া) পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ড থেকে বিএনপি প্রার্থী আজিজজুল বারী হেলালের পক্ষে জনসংযোগ ও প্রচার শুরু হয়েছে। খুলনার ৬টি সংসদীয় আসনে বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা মোট ৩৫ জন। প্রধান দুই জোটের মধ্যে খুলনা ৬টি আসনেই নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের ৬ প্রার্থী রয়েছে। তবে মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টি খুলনা- ১ ও খুলনা- ৬ আসনে লাঙ্গল প্রতীকে প্রার্থী দিয়েছে। বিএনপির প্রার্থী রয়েছে খুলনা-১, খুলনা-২, খুলনা-৩ ও খুলনা-৪ আসনে। খুলনা-৫ ও খুলনা- ৬ আসনে বিএনপি-জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছেন জামায়াতের দুই নেতা।
×