ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সপ্তাহব্যাপী বিজয় উৎসব শুরু

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সপ্তাহব্যাপী বিজয় উৎসব শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে পদার্পণ করবে লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ। নানা আয়োজনে উদ্যাপিত হবে গৌরবময় সেই অধ্যায়। আনন্দময় এ উপলক্ষকে সামনে রেখে এখন থেকেই চলছে নানা পরিকল্পনা। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বিজয় উৎসবে ঘটল তার প্রতিফলন। সোমবার থেকে শুরু হলো প্রতিষ্ঠানটির সপ্তাহব্যাপী ‘মানবাধিকার দিবস থেকে বিজয় দিবস’ শীর্ষক বিজয় দিবসের অনুষ্ঠামালা। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাদুঘর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এবারের উৎসবের স্লোগান ‘তরুণের হাতে মুক্তির দায়ভার : স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী হোক স্বদেশের সুবর্ণ সময়’। উৎসব উপলক্ষে লাল-সবুজ রঙে ছেয়ে গেছে পুরো জাদুঘর চত্বর। শিশুদের আনাগোনা আর মঞ্চে মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের গানে কবিতায় মুখরিত হয়ে ওঠে উৎসব প্রাঙ্গণ। পাশাপাশি আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠ প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনের অনুষ্ঠানমালা। বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ‘মানবাধিকার ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক বক্তৃতা প্রদান করবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, দুটি কারণে ডিসেম্বর মাস গুরুত্বপূর্ণ। এর একটি মানবাধিকার দিবস, অন্যটি বিজয় দিবস। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানরা আত্মত্যাগ করেছিলেন। তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই আত্মত্যাগের কথা মনে রেখে, দেশকে মায়ের মতো ভালবাসতে হবে। স্বাগত বক্তব্যে জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন তারিক আলী বলেন, পাকিস্তান বাংলাদেশের অনেক আগে স্বাধীন হলেও খুব বেশি এগোতে পারেনি। কারণ, পাকিস্তানের শিক্ষার মধ্যে মানবাধিকার ছিল না। বাংলাদেশে মানবাধিকার ছিল এবং এখনও আছে। আলোচনা পর্ব শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ পর্বে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা। ভূপেন হাজারিকার ‘মানুষ মানুষের জন্য’ গানটির মধ্য দিয়ে পরিবেশনা শুরু করে দলটি। এরপর দলটি একে একে গেয়ে শোনায় ‘আমরা মানুষের জয়গান গাই’ ও ‘সোনার মোড়ানো বাংলা মোদের’। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে স্পন্দনের নৃত্যশিল্পীরা। দলীয় আবৃত্তি নিয়ে মঞ্চে ছিল কথা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র। সব শেষে নৃত্য-গীতে সজ্জিত সাংস্কৃৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন ক্যালিক্স প্রিক্যাডেট হাইস্কুল ও ব্রাইট স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার উৎসবের দ্বিতীয় দিনে ‘এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা, সুষম বিকাশ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক বক্তৃতা রাখবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ এবং তরুণ আলোচক হিসেবে অংশ নেবেন ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের কো-চেয়ারম্যান ফাল্গুনী মজুমদার। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করবে কণ্ঠশীলন, দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করবে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, সাংস্কৃৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুল ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারাল আর্টস বাংলাদেশ । আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে জাদুঘর মিলনায়তনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ ডিসেম্বর সকালে শিশু-কিশোর আনন্দানুষ্ঠান ও সন্ধ্যায় পরিবেশিত হবে যাত্রাপালা।
×