ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশের এসিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা, তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

পুলিশের এসিসহ  ১০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা, তদন্তের নির্দেশ

কোর্ট রিপোর্টার ॥ রাজধানীর খিলগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) নাদিয়া জুঁইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেছেন ‘সাপ্তাহিক তদন্ত চিত্র’ নামে একটি প্রকাশনার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জিয়াউর রহমান। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম কনক বড়ুয়ার আদালতে তিনি এ মামলা করলে শুনানি শেষে বিচারক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। অন্য আসামিরা হলেন- খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান, এসআই মোঃ নাছির উদ্দিন তুহিন, এএসআই ফজলু ও মাসুদ, কনস্টেবল আমিরুল, জনৈক নুর মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান স্বপন, সোর্স রহমান ও ফারুক। মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আসামি নুর মোহাম্মদ একজন মাদকব্যবসায়ী এবং তিনি আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকার মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রর নামে মাদকের আখড়া, নারী ব্যবসা, চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট হিসেবে কাজ করেন। খিলগাঁও থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে মামলা নেয় না। সাধারণ জনগণ প্রশাসন বা আদালতের আশ্রয় নিলে এসি নাদিয়া জুঁইয়ের সহযোগিতা থাকায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। বরং যারা অভিযোগ করেন নাদিয়া জুঁইয়ের সহযোগিতায় তাদের ভয়ভীতি, হুমকি, হামলা, গুমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়া হয়। গত ২৩ জুলাই নুর মোহাম্মদ ও নাদিয়া জুঁয়ের বিরুদ্ধে সাপ্তাহিক তদন্ত চিত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশ করায় ২৯ জুলাই জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরদিন বাদীর পত্রিকা অফিস ডিআইটি রোড মালিবাগ রেলগেটে পুলিশ অভিযান চালায়। সেখানে নাদিয়া জুঁই ও মশিউর রহমান বাদে অপর আসামিরা উপস্থিত থাকে। সেখানে বাদীকে মারধর করা হয়। তার অফিস থেকে ৫ লাখ ৪ হাজার ৪ শ’ টাকার মালামাল এবং ৫ শ’ কপি তদন্ত চিত্রের বর্ষ ২৪, সংখ্যা ৩৪ নিয়ে যায়। আর এই ঘটনা কাউকে জানালে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হবে বলে হুমকি দেন নুর মোহাম্মদ। ওইদিন তাকে গ্রেফতার করা হলে ৩১ তারিখে রামপুরা থেকে বাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। আদালতে আনার আগেও কনস্টেবল আমিরুল বাদীকে মারধর করেন। আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে রিমান্ডে এনেই আসামি নাছির উদ্দিন তুহিন ও মাসুদ বাদীর স্ত্রী রেশমী রহমানকে ফোন করে এক মাদকব্যবসায়ীকে মারধর করে তার কান্না শুনিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর তাদের ৫০ হাজার টাকা দেন বাদীর ভাই জহিরুল ইসলাম। ওই ঘটনার সকল বিষয় বাদী মশিউর রহমানকে জানালে তিনি আরও মামলা দেয়ার হুমকি দেন।
×