ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে ভারত যাচ্ছেন ৩০ মুক্তিযোদ্ধা

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে ভারত যাচ্ছেন ৩০ মুক্তিযোদ্ধা

বাংলানিউজ ॥ বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে ভারত যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৩০ বীর মুক্তিযোদ্ধা। আগামী ১৭ ডিসেম্বর ভারত রওনা হবেন তারা। চিকিৎসার সব ব্যয়ভার যৌথভাবে বহন করবে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার। সোমবার মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ বীর মুক্তিযোদ্ধা ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর অধীন দিল্লীর রিসার্চ এ্যান্ড রেফারেল সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৫ জন এবং পুনের কমান্ড হাসপাতালে ১৫ মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসা নেবেন। ভ্রমণকালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্লেন ভাড়া ও অন্য খরচ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার। আর চিকিৎসা সম্পর্কিত সব খরচ ভারত সরকার বহন করবে। ভ্রমণের সময় মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানিত নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবেন। জানা গেছে, এক শ’ মুক্তিযোদ্ধাকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবে ভারত। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর নির্ধারিত হাসপাতালে দেয়া হবে তাদের চিকিৎসা। অসচ্ছল এক শ’ মুক্তিযোদ্ধার জন্য বিশেষ এ সুবিধা দিচ্ছে ভারত সরকার। আর তাদের ভারত যাতায়াতের ব্যয় বহন করবে বাংলাদেশ সরকার। ‘মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব হানড্রেড মুক্তিযোদ্ধাস ইন ইন্ডিয়া’- পরিকল্পনার আওতায় ভারত সরকার প্রতি মুক্তিযোদ্ধার পেছনে বাংলাদেশী মুদ্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয় করবে। এছাড়া ভারতে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের খরচও বহন করবে দেশটির সরকার। এদিকে গত এপ্রিল মাসে দিল্লী ক্যান্টনমেন্টের মানেকশ কনভেনশন সেন্টারে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা ১৬৬১ ভারতীয় সেনাকে সম্মাননা দেয়ার উদ্দেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে ৫ বছরের বহুমুখী এন্ট্রি ভিসাসহ ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধাদের ১০ হাজার ছেলেমেয়েকে স্কলারশিপ দেয়া হবে। সব মিলে এই সুবিধা পাবে ২০ হাজার ছেলেমেয়ে। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ভারতে চিকিৎসার জন্য আগ্রহী অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। এতে বরগুনা, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলা ছাড়া বাকি সব জেলা থেকে আবেদনপত্র জমা পড়ে। প্রতি জেলা থেকে দু’জন করে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতি জেলায় সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে চার সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত এক কমিটি ফেব্রুয়ারি মাসে মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা জমা দেন। তালিকা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে টিবি, মানসিক বিকারগ্রস্ততা ও অন্য দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন হয় এমন রোগ এই পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই চিকিৎসা সুবিধা শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ।
×