ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুখের আলসার চেনার উপায়

প্রকাশিত: ০৮:৩৩, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

মুখের আলসার চেনার উপায়

আলসারের স্থান দেখে কি ধরনের আলসার হয়েছে তা সম্বন্ধে একটু হলেও ধারণা পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ আলসার যদি একটি ধারালো দাঁতের কিনারায় পাশে হয়ে থাকে তাহলে আমরা ধারণা করে নিতে পারি যে মুখের আলসারটি ট্রমাটিক আলসার বা আঘাতজনিত আলসার হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আবার আরসার যদি ইন্টটারডেন্টাল প্যাপিলাতে হয়ে থাকে তাহলে আমরা আলসারকে একুউট নেকরোটাইজিং আলসারেটিভ জিনজিভাইটিস ভলে ধারণা করি। মুখের আলসার যদি মুখের পিছনের দিকে হয়ে থাকে তাহলে সেটি সাধারণত কক্সস্যাকি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়ে থাকে। যেমনÑ হারপেনজিনা। হারপেনজিনা গলার একটি সংক্রমণ যা লাল রিংএর মত ব্লিস্টার এর সৃষ্টি করে এবং টনসিল এবং সফট প্যালেটের ওপর আলসার সৃষ্টি করে। মুখের আলসার যদি একের অধিক বা অনেকগুলো হয় তবে সেক্ষেত্রে এটি ভাইরাল সংক্রমণের সঙ্কেত দিয়ে থাকে। (ক) কক্সস্যাকি ভাইরাস (খ) হারপিস ভাইরাস (গ) বারবার মুখের আলসার। ট্রমাটিস বা আঘাতজনিত আলসার সাধারণত গোলাকার বা ক্রিসেন্টিক হয়ে থাকে। আলসার অসম এবং কোয়ালেসিং জাতীয় হলে তা সাইটোমেগালো ভাইরাসজনিত আলসার এর ধারণা দেয়। আবার অসম আলসার হারপিস ভাইরাসজনিত মুখের আলসার হয়ে থাকে। জিহ্বার টিউবারকুলাস আলসার অ্যাংগুলার অথবা ষ্টিলেট আকৃতির হয়। পানচড আউট আলসার টারসিয়ারি সিফিলিসের ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়। কোন আলসারের বেস যদি ইনডুরেটেড অর্থাৎ শক্ত থাকে এবং অন্যকিছুর সাথে সংযুক্ত থাকে তাহলে ধারণা করা যায় ঐ আলসার ক্যান্সারের দিকে রূপান্তরিত হচ্ছে। পালপেশন করে যদি এমন কিছু অনুভব করা যায় তাহলে বায়োপসি করা অতীব জরুরী। কোন আলসারের এজ যদি উঁচু ভাজযুক্ত এবং বাহিরের দিকে থাকে তাহলে ঐ ্অলসার ম্যালিগন্যান্ট আলসার হিসেবে গণ্য হবে। তবে পরীক্ষা করে শতভাগ নিশ্চিত হতে হবে। টিউবারকুলাস বা যক্ষ্মাজনিত আলসার সাধারণত আন্ডারমাইন্ড বা ওভারহ্যাংগিং থাকে। ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ মোবাইল : ০১৮১৭৫২১৮৯৭
×