অনলাইন রিপোর্টার ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী ১,বগুড়া ৬ ও ৭ আসনে মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদনের ওপর দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে মামলাটি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। এরপর তিনি মামলাটির শুনানির জন্য অন্য একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে ৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানির পর সংখ্যা গরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৩টি আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত দেন।
শুনানিতে প্রার্থিতা বহালের পক্ষে মত দেন মাহবুব তালুকদার। এর বিপক্ষে মত দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ৪ জন। পরে প্রার্থিতা বাতিল করা রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত ও নির্বাচন কমিশনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে গত ৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনটি রিট দায়ের করা হয়। এসব রিটের ওপর ১০ ডিসেম্বর শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া বগুড়া-৬ ও ৭ এবং ফেনী-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা তার মনোনয়নগুলো বাতিল করে দেন।