ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ভোট উৎসবে হাটবাজার, চায়ের দোকান জমজমাট

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮

 চট্টগ্রামে ভোট উৎসবে হাটবাজার, চায়ের দোকান জমজমাট

হাসান নাসির, চট্টগ্রাম অফিস ॥ প্রতীক পেয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনে শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় রয়েছেন দুই জোটের ৩২ প্রতিদ্বন্দ্বীসহ মোট ১১৪ প্রার্থী। মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকরা ছুটছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। শুরু হয়েছে ভোট উৎসব, জমে উঠেছে হাটবাজার ও চায়ের দোকান। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রার্থীরা তুলে ধরছেন উন্নয়নের চিত্র এবং ধারাবাহিকতা রক্ষার আবেদন। অপরদিকে বিএনপির প্রচারে প্রাধান্য পাচ্ছে পরিবর্তন। জেলার ফটিকছড়িতে সোমবার রাতে দুগ্রুপের মধ্যে একটি সংঘর্ষের ঘটনা বাদ দিলে এখনও পর্যন্ত সন্তোষজনক সামগ্রিক নির্বাচনী পরিবেশ। ভোট চাওয়ার পাশাপাশি শেষ পর্যন্তও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থী সোমবার সকালে ভোটের প্রচার শুরু করেন। নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের কাটবে নির্ঘুম রাত। পাড়া মহল্লা ও সড়কে নৌকা, ধানের শীষ, লাঙ্গল, ছাতা, কাস্তে, হাতপাখাসহ বিভিন্ন প্রতীক সংবলিত পোস্টার দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। দেয়ালে পোস্টার লাগানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় পোস্টারগুলো ঝুলানো হচ্ছে রশিতে। মঙ্গলবার বিকেলে প্রার্থী ও প্রতীকের সমর্থনে মাইক প্রচারও শুরু হয়ে যায়। ফটিকছড়িতে সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ক’জন গুলিবিদ্ধসহ প্রায় ২০ আহত হয়। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও মহাজোট প্রার্থী তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর সমর্থকদের মাঝে এ সংঘর্ষ হয়। এছাড়া জেলার অন্য কোথাও উল্লেখ করার মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সকালে কোতোয়ালি এলাকার আমানত শাহ মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে তার নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম হোসেন বাবুল, চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ গিয়াস উদ্দিন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নওফেল বলেন, শেখ হাসিনার সরকার এদেশে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। ধারাবাহিকতা রক্ষায় জনগণ আবারও নৌকায় ভোট দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মহিউদ্দিনপুত্র নওফেল নির্বাচনী প্রচারে আসার খবরে জেলরোড এলাকার অনেকেই ছুটে আসেন। এর মধ্যে কেউ কেউ তার মাথায় হাত বুলিয়ে আশীর্বাদ করেন। এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপি প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন এখন কারাগারে। তবে তার পক্ষে দলের কর্মী-সমর্থকরা প্রচারে নেমেছেন। চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপি প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমানও এদিন আমানত শাহ মাজার জিয়ারত করে প্রচারে নামেন। সেখানে তার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহিবুল হাসান নওফেলের সঙ্গে। তারা উভয়ে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন। নোমানের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি নেতা এএম নাজিমউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, কাজী বেলাল, ইয়াসিন চৌধুরী লিটনসহ কর্মী-সমর্থকরা। এবারের নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে বলে উল্লেখ করেন আবদুল্লাহ আল নোমান।
×