ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দল বা প্রার্থী নয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮

 দল বা প্রার্থী নয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনে কোন নির্দিষ্ট দল বা প্রার্থী নয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। তারা চায় বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। যেখানে সব দল বাধাহীনভাবে নির্বাচনী প্রচার, র‌্যালি, সমাবেশ করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার। মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য এসেছিলাম। যুক্তরাষ্ট্র আসন্ন নির্বাচনে সবার শান্তিপূর্ণ আচরণ প্রত্যাশা করে। রাজনৈতিক দল হোক আর যেই হোক সবাই যেন শান্তিপূর্ণ আচরণ করে। সহিংসতা থেকে দূরে থাকে। সহিংসতা গণতন্ত্রের পথে বাধা হিসেবে থাকে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সহিংসতা শুধু তাদের উদ্দেশ্য পূর্ণ করে। তিনি উল্লেখ করেন বৈঠকে আমরা বলেছি, সব দল যেন অবাধে নির্বাচনে অংশ নেয়ার এবং রাজনীতি করার সুযোগ পায়। গণমাধ্যম, বিরোধী দল যেন তাদের মত ব্যক্ত করতে পারে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতিকে যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত করছে। সবাই এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছি। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দলকে সহায়তা করবে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)। পাঁচ সদস্যের প্রাক মূল্যায়ন দল অক্টোবরে পাঠিয়েছিল এনডিআই। এ মাসেও এমন একটি দল পাঠানো হয়। এনডিআইয়ের অংশীদার ‘দ্য এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন’। তারা দুজন আন্তর্জাতিক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ নিয়োজিত করেছে এবং স্বল্পমেয়াদ ও দীর্ঘমেয়াদে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাবে। এ ছাড়া মার্কিন দূতাবাস পৃথক পর্যবেক্ষক দল নিয়োগ করবে সারা দেশে। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র ১৫ হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষকের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অর্থায়ন করবে। তারা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) হয়ে কাজ করবে।
×