ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নোয়াখালীতে পথসভা

ইতিহাস সৃষ্টিকারী গণজোয়ার, ভালবাসায় সিক্ত ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮

  ইতিহাস সৃষ্টিকারী  গণজোয়ার,  ভালবাসায় সিক্ত  ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ১১ ডিসেম্বর ॥ ইতিহাস সৃষ্টিকারী গণজোয়ার, ভালবাসায় সিক্ত হলেন ওবায়দুল কাদের। পথসভা শেষে সোমবার রাতে বসুরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রেয়াজুল হক লিটনের বাড়ির আঙ্গিনায় এক বিশাল মহিলা সমাবেশে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জড়ো হতে থাকে দলীয় নেতাকর্মীরা। এক সময় তিল ধারণের জায়গা রইল না। বাড়ির আঙ্গিনায় জায়গা না পেয়ে বাজারের আনাচে কানাচে ও বিভিন্ন ভবনের ছাদে উঠে অবস্থান নেয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে নিত্যানন্দ মোড় পর্যন্ত ওবায়দুল কাদের ও নৌকার ছবি সংবলিত পোস্টার নিয়ে সবাই অবস্থান নেয় রাস্তায়। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো বসুরহাট বাজার। নেতা এখনও পথসভার নির্দিষ্ট স্থানে এসে পৌঁছায়নি। কিন্তু জনতার জোয়ার থেমে থাকেনি। জনতার ঢল আসতেই থাকল। এ জোয়ার একসময় গণজোয়ারে পরিণত হয়। মনে হলো মাস্টারদা সূর্যসেন ও প্রীতিলতা সেনের স্মৃতি বিজড়িত কোম্পানীগঞ্জ আবারও জেগে উঠেছে নব আনন্দে এবং ইতিহাস সৃষ্টিকারী গণজোয়ারে ভালবাসায় সিক্ত হলেন কাদের। শীতের আগমনে প্রকৃতিতে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। অপরদিকে তাপমাত্রা কমলেও বাড়তে শুরু করেছে ভোটের উত্তাপ। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু হয়েছে নোয়াখালীর সর্বত্র প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই প্রার্থীরা সর্বশক্তি নিয়ে নেমে পড়েছেন মাঠে। কনকনে শীতকে উপেক্ষা করেই ভিআইপি আসন ক্ষেত নোয়াখালী-৫ আসনে জননেতা ওবায়দুল কাদেরের পথসভায় গভীর রাত পর্যন্ত দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী সকলেই বঙ্গবন্ধু তথা জননন্দিত নেত্রীর নৌকা প্রতীকের প্রচারে ব্যস্ত। শহরের রাজপথ থেকে শুরু করে কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটের গ্রামের অলিগলি সর্বত্র এখন ভোটের উৎসব। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। প্রচারে শীর্ষে রয়েছেন নোয়াখালী-৫ আসনে দেশের দুই রাজনীতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতা। তারা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জননেতা ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। মঙ্গলবার সরজমিনে আলাপ করে জানা গেছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে এবারের নির্বাচনে প্রতীক নয়, উন্নয়নই মুখ্য। অর্থাৎ উন্নয়নে যে এগিয়ে আছে তাকেই ভোটাররা জয়যুক্ত করবেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সাধারণ ভোটারদের এটাই ভাবনা। ওবায়দুল কাদের এসে পৌঁছালেন নির্দিষ্ট স্থানে। এসেই গণজোয়ারের মধ্যে হারিয়ে গেল ওবায়দুল কাদেরকে বহনকারী গাড়িটি। এক পর্যায়ে ওবায়দুল কাদের তার ব্যক্তিগত গাড়ির ছাদের গ্লাস খুলে উঠে দাঁড়িয়ে জনতার অভিবাদনের জবাব দিতে থাকলেন। হাজার হাজার জনতার নৌকা নৌকা, কাদের ভাই, কাদের ভাই সেøাগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠল পুরো এলাকা। ওবায়দুল কাদেরও জনতার এ আবেগঘন ভালবাসার জবাব দেন হাত নেড়ে। বসুরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে ওবায়দুল কাদেরকে বহনকারী গাড়িটি যখন গণজোয়ারের মাঝখান দিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে সামনের দিকে, তখন জনতার মুহুর্মুহু করতালিতে এক নান্দনিক দৃশ্যের অবতারণা হয়। একই সময় উন্নয়নের ও নৌকার স্লোগান বৃষ্টিতে সিক্ত হতে থাকেন ওবায়দুল কাদের। পথসভায় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সহ-সভাপতি মোঃ সাহাব উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরী, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের নেতা ফখরুল ইসলামসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
×