স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল ইসলাম লিটু বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি কবির হোসেন তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ফরাজীসহ দলের ৪৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা হিসেবে দলের ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ এ মামলায় বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে একই স্থানে পাল্টাপাল্টি পথসভা কেন্দ্র করে দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়। এরমধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল পাঠানো হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল ইসলাম লিটু অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর উঠোন বৈঠকে অতর্কিতভাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, রাঙ্গাবালী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম ফকু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম আব্দুল মন্নান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এস আলম ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।
তবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি কবির হোসেন তালুকদার পাল্টা অভিযোগ করে জানান, পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী আমাদের সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ একইসময় পাল্টা সভার আয়োজন করে। পরে হঠাৎ আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ২০-৩০জন নেতাকর্মী আহত হয়। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এবিএম মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, খালগোড়া বাজার এলাকায় আমাদের পূর্ব নির্ধারিত সভা ছিল। সভার জন্য আমরা আগেই উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়েছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মীরা আমাদের ওপর প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে হামলা করেছে। সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাই।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, নির্বাচনী সভায় হামলার ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল ইসলাম লিটু বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আমরা ইতোমধ্যে ২০জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
