ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কৃতিত্ব যুব সমাজের : অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:৫৫, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কৃতিত্ব যুব সমাজের : অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কৃতিত্ব দেশের যুব সমাজের বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘আইসিটি বা তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের যাত্রা অনেক পরে শুরু হলেও বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বের লিডিং কান্ট্রি। বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৮-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা’ প্রতিপাদ্যে নানা আয়োজনে সারাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে দিবসটির উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি দিবসটির লগো উন্মোচন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ ডাক বিভাগ দিবসটি উপলক্ষে ‘২০০৮-২০১৮ ডিজিটাল বাংলাদেশের ১০ বছর’ উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালনের অংশ হিসেবে ৬ ব্যক্তি ও ৪ প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্মাননা। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ‘রূপকল্প ২০২১’ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র প্রণয়নে ভূমিকা রাখা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগিতা করায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে ডিজিটাল বাংলাদেশ-২০১৮ সম্মাননা দেয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি এম ইমাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান ও আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন এই সম্মাননা পান। প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্মাননা দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), ওয়ালটন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং ডিএমপির সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগকে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেরাটন হোটেলে ঘোষণা দিয়েছিলেন, আমি ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছি। সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন হচ্ছে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ। কিন্তু এই স্বপ্নটা পুরোপুরি বাস্তবায়নের দায়িত্ব যুব সমাজের। কারণ যুব সমাজ আইসিটিটা বুঝে। এই যে আইসিটি খাতের উন্নয়ন এর পুরো কৃতিত্ব যুব সমাজের। তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য দীর্ঘ সময় নিয়ে ইশতেহার তৈরি করতে হয়। দেশের সেবা করতে চান, সুশাষণ প্রতিষ্ঠা করতে চান তাহলে দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি দরকার। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের তা তা সব সময়ই ছিল। সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ বছরে দেশ ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে গেছে। ডিজিটাল রূপান্তরের জায়গাটি এখন শিল্প বিপ্লবে রূপান্তর হবে। তবে একটা সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কম হাসিঠাট্টা হয়নি। লাঙ্গল- জোয়ালের বাংলাদেশ, ২০১৮ সালে এসে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে আপনারা তা সবাই জানেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, তোমরা আসলেই খুব ভাগ্যবান। একটি লাঙ্গল-জোয়ারের দেশ থেকে যে দেশ এসেছে তোমরা সেই দেশে বাস করছো। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশকে পৃথিবীর অন্যতম দেশ হিসেবে দেখতে চাই। সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রাতারাতি হয়নি। তবে আমরা দ্রুততার সঙ্গে এগুতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে পারবো। কারণ তরুণ প্রজন্ম নতুন করে দেশের মাটি চিনতে পেরেছে। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব জুয়েনা আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মহাপরিচালক একে এম খায়রুল আলম এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার প্রমুখ।
×