ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এক হাজার টাকা কর নিয়ে অবৈধ স্বর্ণ বৈধ করার সুযোগ

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮

এক হাজার টাকা কর নিয়ে অবৈধ স্বর্ণ বৈধ করার সুযোগ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভরি প্রতি ১ হাজার টাকা কর নিয়ে সব ধরনের অবৈধ স্বর্ণ বৈধ করার সুযোগ দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে একটি স্বর্ণ মেলার আয়োজন করে শীঘ্রই দেশের সব অবৈধ স্বর্ণ বৈধ করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এছাড়া এক দশক পর বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত স্বর্ণ নিলামে বিক্রি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। খুব শিগগির এসব স্বর্ণের নিলাম ডাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮ প্রণয়ন পরবর্তীতে ভ্যাট, ট্যাক্স নিরূপন সংক্রান্ত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার প্রমুখ। ওই বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারককে ভরিপ্রতি শুল্ক দিতে হবে ২ হাজার টাকা এবং ভ্যাটের হার রাখা হয়েছে ৫ শতাংশ। ব্যাগেজ রুলের আওতায় শুল্ক আগের মতই রাখা হয়েছে। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, বলেন ইতোমধ্যেই আমরা স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮ প্রণয়ন করেছি। আজকে ভ্যাট ও ট্যাক্স নিরূপণে বৈঠকে বসেছিলাম। সবকিছু চূড়ান্ত করে আনা হয়েছে। চলতি মাসেই এ সংক্রান্ত এসআরও জারি করবে এনবিআর। এছাড়া এসআরও জারির পর যেকোনো দিন বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত স্বর্ণ নিলাম ডাকা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক দশক ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত স্বর্ণের নিলাম দেয়া হচ্ছে না। এই সময়ে ক্রমেই বেড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রক্ষিত স্বর্ণের পরিমাণ। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ জমা আছে। নিয়ম অনুসারে, মামলা নিষ্পত্তির পর রক্ষিত স্বর্ণ নিলামে তোলার কথা। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৩ জুলাইয়ের পর নিলামে আর স্বর্ণ বিক্রি করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে একদিকে যেমন এসব স্বর্ণ অব্যবহৃত রয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে রাষ্ট্র রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। কেননা এই পরিমাণ স্বর্ণ নিলামে তুললে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে হাজার কোটি টাকা জমা হতো। এ ছাড়া নিরাপত্তা নিয়েও করতে হতো না বাড়তি চিন্তা।
×