ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জনসমুদ্রে নৌকার জোয়ার

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

জনসমুদ্রে নৌকার জোয়ার

উত্তম চক্রবর্তী/সুবল চন্দ্র বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ থেকে ॥ নির্বাচনী জনসভা তো নয়, রীতিমতো যেন জনসমুদ্র। হ্যাট্রিক বিজয় অর্থাৎ টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে নিজ আসন কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় নৌকার পক্ষে গণজোয়ার তুলেই আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। কোটালীপাড়ায় প্রথম নির্বাচনী জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, যুদ্ধাপরাধী হিসেবে যাদের শাস্তি হয়েছে তাদের দোসরদের প্রার্থী করা হয়েছে। যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, অগ্নিসন্ত্রাসকারীদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছে, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাদের উপযুক্ত জবাব দিন। কোটালীপাড়ার এই জনসভার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সমগ্র দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। সেই সময় যেন স্বাধীনতাবিরোধী, খুনী, রাজাকার, অগ্নিসন্ত্রাসকারী তারা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। ক্ষমতায় এলে তারা দেশকে ধ্বংস করে দেবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দেবে। আবার এ দেশ ক্ষুধার্ত হবে, অশিক্ষিত হবে, মানুষের ভাগ্যের বিপর্যয় ঘটবে। মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর যেন তারা ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেজন্যই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জনগণের সেবা করার সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আর যেহেতু এটাই আমাদের প্রথম নির্বাচনী জনসভা। তাই এ জনসভার মাধ্যমে সমগ্র দেশবাসীর কাছে এই আবেদন জানাই, আমি নৌকা মার্কায় ভোট চাই, জনগণের সেবা করতে চাই। দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি দেশবাসীর কাছে ভোট চাই, দোয়া চাই, সহযোগিতা চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নৌকা মার্কায় ভোট দিন। যাকে যেখানে প্রার্থী করেছি, সেখানে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে আহ্বান জানাচ্ছি। নৌকায় ভোট দিয়ে কেউ বঞ্চিত হয় না। আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছেন। বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার পেয়েছেন। আজকে বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ যেন এগিয়ে যেতে পারে। বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে যেন চলতে পারে, আমি সেই সুযোগ দেশবাসীর কাছে চাই। বুধবার বিকেলে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার উপজেলা সদরে শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারী মাঠে একাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রথম বিশাল নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গোপালগঞ্জে এসেই প্রধানমন্ত্রী প্রথমে টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্বাপ্নিক স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন এবং তাঁর মাজার জিয়ারত করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন। এরপরই প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজস্ব নির্বাচনী আসন গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া)’র ভোটারদের কাছে নিজের জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চান। তাঁর নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্ব এলাকার ভোটারদের ওপর ছেড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারাই নৌকা ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেন। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের জনগণের সেবা করার সুযোগ পাই। এজন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এখনও আমি আপনাদের সেই দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছি। আপনজন বলতে ছোট বোন আর আছেন আপনারা। আপনারা আমার আপনজন হয়ে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার গ্রামের মানুষের কাছে গিয়ে আমার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চাইবেন। আমার তিনশ’ আসনেরই দায়িত্ব পালন করতে হয়। সেই সঙ্গে দেশের উন্নয়নের কাজ করতে হয়। তাই এখানে আপনাদেরই সব দায়িত্ব। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আরেকটিবার দেশ সেবা করার সুযোগ করে দেবেন। এই জনসভার মাধ্যমে দেশবাসীর কাছেও আবেদন জানাই, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি, জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার করেছি। বাংলাদেশ আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁডিয়েছে। এই অগ্রযাত্রা আমাদের ধরে রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পুরো গোপালগঞ্জে রীতিমতো উৎসবের আমেজের সৃষ্টি হয়। বর্ণিল সাজে সেজেছিল পুরো টুঙ্গিপাড়া ও গোপালগঞ্জ। এই আসন থেকে মোট ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সপ্তমবারের মতো প্রার্থী হয়ে ভোট চাইতে আসেন তাঁর নির্বাচনী এলাকায়। সকালে গণভবন থেকে সড়ক পথে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। পথিমধ্যে তাঁর সরকারের চ্যালেঞ্জের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণে চলা বিশাল কর্মযজ্ঞ নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেন তিনি। সড়ক পথে এটিই প্রথম এই বিশাল কর্মযজ্ঞের চিত্রটি কাছ থেকে তাঁর দেখা। সড়কপথে বেলা দেড়টার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছেই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু মাজারে যান এবং জাতির জনকের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা জাতির পিতার মাজার জিয়ারত করেন। নিজ পৈত্রিক নিবাসে দুপুরের আহার ও নামাজ আদায় শেষে প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৪টায় কোটালীপাড়ার জনসভাস্থলে যান। এদিকে এই জনসভাকে ঘিরে অন্যরকম উন্মাদনা লক্ষ্য করা গেছে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায়। বেলা ১১টা থেকেই মানুষের ঢল নামতে শুরু করে জনসভা অভিমুখে। ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এবং আশপাশের এলাকায় থেকে হাজার হাজার মানুষ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে জনসভায় আসতে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী জনসভাস্থলে আসার আগেই পুরো এলাকা রীতিমতো জনসমুদ্রে রূপ নেয়। কোটালীপাড়া- কান্দিরোড, কোটালীপাড়া- রাজৈর, কোটালীপাড়া- গোপালগঞ্জ সড়কসহ মেইন রোড, হাসপাতাল রোডসহ সর্বত্রই সব থেকে মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সেদিকে তাকানো যায়, শুধু মানুষ আর মানুষ। প্রধানমন্ত্রী জনসভাস্থলে আসার সময় লাখো মানুষ নৌকা মার্কার গগণবিদারী স্লোগান তুলে পুরো উপজেলাকেই প্রকম্পিত করে তোলে। লাখে মানুষের এই জনসমুদ্রে পুরুষদের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ মহিলাদের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখ করার মতো। কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র সূত্রধরের সভাপতিত্বে এবং এস এম হুমায়ুন কবির ও আয়নাল হোসেন শেখের পরিচালনায় জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মোঃ আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মোঃ আবু কাউছার, গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হওলাদার, পৌর মেয়র হাজী কামাল হোসেন শেখ, সাবেক মেয়র এস এম অহেদুল ইসলাম, কমল চন্দ্র সেন, আমিনুজ্জামান খান মিলন, রাফেজা বেগম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। জনসভার মঞ্চে এবারই প্রথম বঙ্গবন্ধুরকন্যা শেখ রেহানা উপস্থিত থাকলেও তিনি বক্তব্য রাখেননি। কিন্তু চমক হিসেবে শেখ রেহানার অনুরোধে জনসভায় বক্তব্য রাখেন দেশের জনপ্রিয় দুই চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস ও রিয়াজ। জনসভা শেষে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ার নিজ পৈত্রিক বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন। আজ নির্বাচনী প্রচারের দিন বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জ থেকে সড়ক পথে প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় ফিরবেন। পথিমধ্যে তিনি সাতটি পথসভায় বক্তব্য রাখবেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তাঁর বারবার প্রাণনাশের চেষ্টার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই কোটালীপাড়াতেই বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল। যে এই বোমা পুঁতে রেখেছিল সেও এই কোটালীপাড়ার। আর যে এই বোমার খোঁজ পেয়ে উদ্ধার করতে সাহায্য করেছে সেও এই কোটালীপাড়ারই সন্তান, একটি চায়ের দোকানের মালিক। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ২১ আগস্টেও গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। কখনও বোমা, কখনও গুলি- বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু আমি কখনও মৃত্যুকে পরোয়া করি না, কোন ষড়যন্ত্রকে আমি ভয় করি না। আমার ভেতর একটা আত্মবিশ্বাস আছে, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে, স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেব, তাদের উন্নত জীবন দেবÑ এজন্যই হয়তো আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নয়ন হয়, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে। এটা আমরা প্রমাণ করেছি। সত্যিই আজ জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। আগামী একশ বছরের জন্য ডেল্টা প্লান ঘোষণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীতে দেশের মানুষ কারো কাছে হাত পেতে চলবে না, বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। দেশের প্রতিটি গ্রামের মানুষ নাগরিক সুবিধা পাবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবোই। এটাই আমাদের একমাত্র প্রতিজ্ঞা। দেশবাসীর কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে তিনি বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে কেউ কখনও বঞ্চিত হয় না। নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা, মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার পেয়েছেন। নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়ন-সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রা যেন কেউ থামাতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি-জামায়াতের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকানোর নামে ওই বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। স্কুল পুড়িয়েছে প্রায় ৫শ’ ৮২টা, সরকারী অফিস পুড়িয়েছে, ভূমি অফিস পুড়িয়েছে। সাড়ে তিন হাজারের মতো গাড়ি পুড়িয়েছে। বাসের ভিতরে হেলপার ড্রাইভারকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে। এভাবে জঘন্য কাজ তারা করেছিল। এসব করেছিল সরকার উৎখাতের জন্য। কিন্তু নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলন জনগণ মেনে নেয়নি, তাদের কথা শোনেনি। বাংলার মানুষ ভোট দিয়ে আবার আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করতে দিয়েছিল বলেই আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার করে বলেন, যেখানে বিদ্যুতের জন্য হাহাকার ছিল, আজকে আমরা ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করছি। ৯৬ ভাগ মানুষ আজকে বিদ্যুত পাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি ঘর আলোকিত হবে। প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেব। প্রতিটি মানুষ বিদ্যুত সুবিধা পাবে। তিনি বলেন, কওমি মাদ্রাসা যারা ছিল সম্পূর্ণ অবহেলিত, আজকে কওমি সনদ স্বীকৃতি দিয়ে তাদের সনদ দিচ্ছি। তারাও আজকে চাকরি পায়, ভালভাবে কাজ পায়, ভালভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে- সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। যাতে এদেশের কেউ অবহেলিত না থাকে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নৌকায় ভোট চাইলেন খ্যাতনামা দুই অভিনেতা ॥ প্রথম নির্বাচনী জনসভাতেই কোটালীপাড়ার ভোটারদের চমক দিল আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জনসভার মঞ্চে যখন দেশের জনপ্রিয় দুই চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস ও রিয়াজ মঞ্চে উঠেন, তখন সামনে থাকা লাখো জনতা উল্লাসে ফেটে পড়েন। নৌকা নৌকা ধ্বনিতে তাদের স্বাগত জানান ভোটাররা। আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মোঃ আবদুল্লাহ বলেন, অনেক দিন হলো এলাকার ভোটারদের আশা বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা জনসভায় কিছু বলবেন। তখন ইশারায় শেখ রেহানা তার পরিবর্তে চলচ্চিত্রের দুই নায়ককে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দিতে বলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যার অনুরোধে বক্তব্য রাখেন অভিনেতা ফেরদৌস ও রিয়াজ। নির্বাচনী প্রচারে সরকারী কোন সুবিধা নিলেন না প্রধানমন্ত্রী ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সড়ক পথে গোপালগঞ্জ এসে কোটালীপাড়ায় প্রথম নির্বাচনী জনসভাতে ভাষণ দেন তিনি। তবে দীর্ঘ এই সড়ক পথে আসার সময় শুধু নিরাপত্তা ছাড়া ন্যূনতম অন্য কোন সরকারী সুবিধা নেননি প্রধানমন্ত্রী। সরকারী বুলেটপ্রুফ গাড়ির পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় থেকে গোপালগঞ্জে আসেন নিজস্ব কেনা বুলেটপ্রুফ গাড়িতে।
×