স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বাকি মাত্র ১৬ দিন। দেশবাসীর একটিই চাওয়া- আগামী ৩০ ডিসেম্বর একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তারা। তারা বলছেন, ভোট যেন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাররা নির্বিঘেœ যেন ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে। একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনাও চূড়ান্ত করতে আজ বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। আজকে বৈঠকে নির্বাচনের আগে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে। সেই অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
নির্বাচনে আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়ে আজ অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। বিশেষ করে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তারা মাঠের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হবে। ভোটের মাঠের পরিবেশ এবং প্রার্থী ও সমর্থকদের আচরণ বিধি পরিপালনের বিষয়টি আলোচনায় আসবে। এছাড়া নির্বাচনে কোন কোন এলাকায় কি ধরনের ঝুঁকি রয়েছে, পাহাড়ী ও দুর্গম অঞ্চলের সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ভোটের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি করণীয় নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। অন্য চার কমিশনার, ইসি সচিব ছাড়াও ইসির উর্ধতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা, সেনা, নৌ এবং বিজিবি কর্মকর্তারা এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে চিঠি দেয়া হয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীসহ, বিজিবি, র্যাব পুলিশ আনসার এবং অন্যান্য বাহিনীর সমন্বয়ে সারাদেশে ৬ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। তারা স্ট্রাইকিং, মোবাইল টিমের সদস্য হয়ে ভোটের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করবেন। এর বাইরেও ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তা রক্ষা এবং কেন্দ্র পাহারায় থাকছে আলাদা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনায় সাধারণ এলাকা, মেট্রোপলিটন এলাকা এবং উপকূলীয়, দুর্গম ও পার্বত্য এলাকার ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য পৃথকসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে ভোটের আগে ও পরে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: