গাফফার খান চৌধুরী ॥ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব ধরনের বৈধ অস্ত্রগোলাবারুদ বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত এমন নির্দেশনা বহাল থাকবে। সেই সঙ্গে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সারাদেশে চলমান সাঁড়াশি অভিযান আরও জোরদার করার নির্র্দেশনা জারি করা হয়েছে। যদিও বরাবরই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র নিটকস্থ থানায় বা সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেয়ার রেওয়াজ চালু ছিল। এবারই প্রথম এর ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা গেল। বুধবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈধ অস্ত্রগোলাবারুদ নিটকস্থ থানায় বা সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেয়ার কোন নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা নির্বাচন কমিশন থেকে আসেনি। এবার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য প্রার্থীরা তাদের অস্ত্র সঙ্গে রাখতে পারবেন। তবে প্রদর্শন করতে পারবেন না। এমন নির্দেশনায় বিপাকে পড়েছেন বৈধ অস্ত্রের মালিকরা। তাদের ভাষ্য, প্রয়োজন অনুযায়ী কেউ যদি অস্ত্র প্রদর্শনই না করতে পারেন বা নিজেকে অস্ত্র দিয়ে মৃত্যু বা অন্যকোন অঘটনের হাত থেকে রক্ষা করতে না পারেন, তাহলে অস্ত্র রেখে কি লাভ? এদিকে বৈধ অস্ত্র জমা না নেয়ার ঘোষণায় নির্বাচনে এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সহিংসতা বাড়ার আশঙ্কা করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি সাংবাদিকদের বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বৈধ অস্ত্র জমা নেবে না। জমা না নিলেও নির্বাচনকালীন সময়ে বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও প্রার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এ ব্যাপারে কিছুটা শিথিলতা দেখানো হবে। ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন থেকে মন্ত্রণালয়ে চিঠি এসেছে। তার আলোকে দু’ এক দিনের মধ্যেই জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশনা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবেন।