ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জাতিসংঘে ডেল্টা প্ল্যান তুলে ধরল বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

 জাতিসংঘে ডেল্টা  প্ল্যান তুলে ধরল বাংলাদেশ

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মহাসাগর ও সমুদ্র বিষয়ক আইনের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত দূরদর্শী ‘ডেল্টা প্লান ২১০০’ এর কথা তুলে ধরল বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন। মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘মহাসাগর ও সমুদ্র বিষয়ক আইন’-এর উপর ৭৩তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ গ্লেন্যারির এজেন্ডাভুক্ত এক আলোচনায় অংশ নেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স ও উপস্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মোঃ আরিফুল ইসলাম। বুধবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানা গেছে। খবর বাসসর। উপস্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘পৃথিবী নামক গ্রহে টেকসই জীবন, দারিদ্র্যদূরীকরণ এবং সমৃদ্ধি আনতে স্বাস্থ্যকর মহাসাগর অপরিহার্য। ২০১৪ সালে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্র সীমার শান্তিপূর্ণ মীমাংসার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার সমুদ্র ও মহাসাগরীয় সম্পদসমূহ অধিকতর আহরণের দ্বার উন্মুক্ত করতে শুরু করে। সে কারণেই বাংলাদেশে এখন সুনীল অর্থনীতি (ব্লু-ইকোনমি) একটি নতুন ‘উন্নয়ন ক্ষেত্র’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এই সুনীল অর্থনীতির বিকাশের জন্য সামুদ্রিক জাহাজ, সমুদ্র বন্দর, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজের পুনর্ব্যবহার, সামুদ্রিক মৎস্য, সামুদ্রিক লবণ, উপকূলীয় পর্যটন, মহাসাগরীয় শক্তি, ভূমি পুনরুদ্ধার, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও নজরদারি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন ও প্রশাসনকে অগ্রাধিকার বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এসব বিষয়গুলো সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার গৃহীত ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ তে সুনিপুণভাবে সন্নিবেশন করা হয়েছে।’ ‘মহাসাগর ও সমুদ্র বিষয়ক আইন’ সংক্রান্ত এ আলোচনায় বাংলাদেশের জাতীয় পদক্ষেপের এসব তথ্য উল্লেখ করার পাশাপাশি এসডিজির অভীষ্ট ১৪ এর বাস্তবায়ন এবং এক্ষেত্রে মৎস্য ভতুর্কি সংক্রান্ত ডব্লিউটিও এর নেগোসিয়েশন সম্পূর্ণ করার উপর বিশেষ জোর দেন উপস্থায়ী প্রতিনিধি। তাছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, মহীসোপানের সীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিশনে মুলতবি থাকা বিভিন্ন আবেদন নিষ্পন্ন করার কাজে গতি আনার বিষয়টিও তিনি বক্তব্যে তুলে ধরেন। সমুদ্র ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে অভিবাসী ও শরণার্থীদের গমনাগমণের বিষয়ে চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স তার উদ্বেগের কথা জানান। এসব অনিয়মতান্ত্রিক মানব চলাচল মোকাবেলা করতে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহকে এগিয়ে আসা, পুশ ও পুল ফ্যাক্টর বিবেচনা এবং সমুদ্রে নজরদারি বাড়ানোর উপর জোর দেন। এ প্রসঙ্গে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। সমুদ্র বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশসমূহের সক্ষমতা বিনির্মাণ ও সমুদ্র বিষয়ক প্রযুক্তির হস্তান্তর বিষয়টিকে তিনি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। জাতিসংঘের সমুদ্র বিষয়ক আইন সংক্রান্ত কনভেনশনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ মিশনের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স।
×