ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আমজাদ হোসেনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

আমজাদ হোসেনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিউরোসাইট বাদে চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনের শরীরের অন্যান্য সমস্যার উন্নতি হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় জনকণ্ঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন তার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিনয়শিল্পী ও বরেণ্য নির্মাতা আমজাদ হোসেন। সেখানে তিনি নিউরো সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার টিরা ট্যাংভিরিয়াপাইবুনের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। দোদুল বলেন, আমি ও আমার ভাই সোহেল আরমান সেখানে ছিলাম। আমি চলে এসেছি সোহেল সেখানে আছে। প্রতিনিয়ত বাবার খোঁজ-খবর নিচ্ছি। এই মাত্র সোহেল আমাকে জানিয়েছে বাবার প্রেসার খুবই লো। প্রেসার ওঠানামা করছে। তিনি বলেন, বাবার কিডনির ক্রিয়েটিনিন লেভেল, যেটা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছিল, সেটা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। হার্টবিট ঠিক আছে। তার হার্টকে স্ট্যাবল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর ইনফেকশনগুলো বাড়তে দেয়া হচ্ছে না। মোটামুটি কিডনি ও লান্স ইনফেকশন কন্ট্রোলে আছে। ডাক্তাররা হাত ও পায়ের এক্সটারনাল ইনফেকশন কন্ট্রোলে নিয়ে আসছে। তিনি বলেন, নিউরো সার্জারি ডাক্তার টিরা ও মেডিসিনের ভ্রংসা এক পর্যায়ে আমাদের বলেছিলেন, বাবার হাত কেটে ফেলতে হবে। কিন্তু তার পরেও বাবা বেঁচে থাকবেন কিনা এ নিশ্চয়তা তারা দিতে পারেননি। আমরা বলেছিলাম তা হলে হাত কাটতে দেব না। কেননা যে হাত দিয়ে বাবা উপন্যাস লিখেছেন, বিখ্যাত বিখ্যাত ছবি তৈরি করেছেন, সেই হাত থাকবে না, এই অবস্থায় বাবা আমাদের মাঝে থাকবেন এটা মেনে নিতে পারছিলাম না। মেডিসিনের মাধ্যমে বাবার সেসব জায়গা এখন অনেক উন্নতির দিকে। এখন আর হাত কাটা লাগবে না। তবে নিউরো সাইট এখনও সেই অবস্থায় রয়েছে। সেটাকে মেডিসিন দিয়ে নিরাময় করার চেষ্টা চলছে। এই সাইট এখনও ইমপ্রুভ হয় নাই। বাবা এই হাসপাতালের ৫৩০ নম্বর রুমে আছেন। এক দিনই সেখানে আমরা দুই ভাই অন টাইম পোশাক পরে ঢুকতে পেরেছিলাম। আমজাদ হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৭ নবেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্ষীয়ান এ নির্মাতা ১৮ নবেম্বর সকালে ব্রেন স্ট্রোক করেন। এরপরই তাকে তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসক শহীদুল্লাহ সবুজের সার্বিক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছিল তার। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে ১৯ নবেম্বর থেকে নিউরো মেডিসিন বিভাগের প্রধান, সার্জারি বিভাগের প্রধান, কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান, আইসিইউ বিভাগের প্রধানসহ ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা চলছিল। এই নির্মাতার শারীরিক অসুস্থতার খবর শুনে হাসপাতালে ভর্তির তিন দিনের মাথায় তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এম্বুলেন্স বাবদ ২২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা এবং চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে ২০ লক্ষ টাকা প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রী আমজাদ হোসেনের পরিবারকে বলেন, দেশে কিংবা দেশের বাইরে যেখানেই হোক, আমজাদ হোসেনের চিকিৎসা নিয়ে ভাবতে হবে না। দোদুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সত্যিই মমতাময়ী। এই কৃতজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।
×