ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বর্নাঢ্য আয়োজনে নীলফামারীতে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

প্রকাশিত: ২১:০৩, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

বর্নাঢ্য আয়োজনে নীলফামারীতে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

স্টাফ রির্পোটার, নীলফামারী ॥ জয় বাংলা শ্লোগানে শ্লোগানে কম্পিত করে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৪৭তম নীলফামারী হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ১১টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স চত্ত্বরে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন এবং জাতীর জনকের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়। এরপর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের যৌথ আয়োজনে বিশাল জাতীয় পতাকা সহ একটি বিজয় র্যালি বের হয়। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর আনন্দ শোভাযাত্রার প্রধান অতিথি ছিলেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহিনুর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ এবিএম আতিকুর রহমান, ইউএনও মামুন ভুঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, ছয় নম্বর সেক্টরের সেকেন্ড ইন কমান্ডার জিএমএ রাজ্জাক,জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার ফজলুল হক,জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি হাফিজুর রশীদ,জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ । শোভাযাত্রা শেষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। উলে¬খ যে, ১৯৭১ সালে ৬ থানা নিয়ে নীলফামারী ছিল একটি মহকুমা শহর। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এখানকার অগণিত ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম শুরু করে। ১৯৭১ সালের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সৈয়দপুর ক্যান্টনম্যান থেকে খান সেনারা তৎকালিন নীলফামারী মহকুমা শহরটি দখল করে নিয়েছিল। পরবর্তী পর্যায়ে ভারতের মুজিব ক্যাম্পে প্রশিক্ষন নেওয়ার পর ৬ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার খাদেমুল বাশারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে গেরিলা আক্রমনের মাধ্যমে পরাস্ত করতে শুরু করে। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন স্থানে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ। চারদিক থেকে আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাক বাহিনী। নীলফামারী জেলা শহরকে মুক্ত করতে চারদিক দিয়ে আক্রমন শুরু হয়। ১২ ডিসেম্বর মধ্য রাতে মুক্তিযোদ্ধারা নীলফামারী শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে খানসেনারা পিছু হটে সৈয়দপুর ক্যান্টনম্যান্টে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ১৩ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করতে থাকে এবং তৎকালিন নীলফামারী মহকুমা শহরটি হানাদারমুক্ত করা হয়। সেদিন সকালে স্বাধীনতাকামী হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে এবং চৌরঙ্গী মোড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করে মুক্তিযোদ্ধারা।
×