ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আজ মির্জাপুর হানাদার মুক্ত হয়

প্রকাশিত: ২১:৪১, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

আজ মির্জাপুর হানাদার মুক্ত হয়

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর ॥ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট চাইলেন মির্জাপুরের মুক্তিযুদ্ধারা। বৃহস্পতিবার ১৩ ডিসেম্বর মির্জাপুর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে র্যালি পরবর্তী এক সমাবেশে মুক্তিযুযোদ্ধারা এ ভোট প্রার্থনা করেন। দিবসটি উপলক্ষে সকালে মুক্তিযোদ্ধারা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করে। র্যালিটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় প্রেসক্লাবের সামনে শেষ হয়। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান লস্কর, মির্জাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশারফ হোসেন মনি, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. একাব্বর হোসেন এমপির পুত্র লন্ডনে অধ্যয়নরত তাহরীম হোসেন সীমান্ত প্রমুখ। বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীতপ্রার্থী মো. একাব্বর হোসেনকে বিজয়ী করার আহবান জানান। ৭১’র ১৩ ডিসেম্বর সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা মির্জাপুর হানাদার মুক্ত করে। ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ শোনে মির্জাপুরের মুক্তিকামী মানুষ উজ্জীবিত হতে থাকে। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নৃশংস ও বর্বর হামলা চালায় । ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য এ এলাকার যুব সমাজ সংঘটিত হতে শুরু করে। মির্জাপুর সদয় কৃষ্ণ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শরীরচর্চা শিক্ষক নিরঞ্জন সাহার তত্ত্বাবধানে চলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ। কেউ কেউ কাদেরিয়া বাহিনীতে যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিতে শুরু করেন। এছাড়া গঠন করা হয় সংগ্রাম পরিষদ। নবেম্বরে মুক্তিযোদ্ধারা মির্জাপুরকে পাক বাহিনী মুক্ত করলেও কয়েক দিনের মধ্যেই আবার পুনরায় তা দখল হয়ে যায়। এরপর কাদেরিয়া বাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধের দুধর্ষ কমান্ডার শাহ আজাদ কামাল, মো. একাব্বর হোসেন এমপি ও মির্জাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুর রহমান, রবিউলসহ মুক্তিযোদ্ধারা সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ১৩ ডিসেম্বর প্রাণপণ যুদ্ধ করে মির্জাপুরকে পাক বাহিনীর দখল মুক্ত করে এবং তৎকালীন সিও অফিসে (বর্তমানে ইউএনও অফিস ) স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে।
×