ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গোলটেবিল আলোচনায় আহ্বান

দলের নির্বাচনী ইশতেহারে জঙ্গী, সাম্প্রদায়িকতা দমনের কর্মসূচী চাই

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮

 দলের নির্বাচনী ইশতেহারে জঙ্গী, সাম্প্রদায়িকতা দমনের কর্মসূচী চাই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে সহিংস উগ্রবাদ, জঙ্গী ও সাম্প্রদায়িকতা দমনের বিষয়ে সুস্পষ্ট কর্মসূচী উল্লেখ থাকা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ও ইংরেজী দৈনিক ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী। তিনি বলেন, সহিংস উগ্রবাদ সৃষ্টিতে বিগত সময়ে বিএনপি-জামায়াতের সম্পৃক্তার বিষয়টি দেশবাসী অবগত। দেশের সাধারণ মানুষ সব সময় উগ্রবাদ, জঙ্গী ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারের মদদপুষ্ট বাংলা ভাই, হুজিসহ বিভিন্ন সহিংস উগ্রবাদী ও জঙ্গী সংগঠনের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের কর্মসূচী সমূহকে স্বাগত জানিয়ে জনগণ তা বুঝিয়ে দিয়েছে। তাই সহিংস উগ্রবাদ, জঙ্গী ও সাম্প্রদায়িকতার উন্মাদনা সৃষ্টির দায় বিএনপি-জামায়াতের মতো রাজনৈতিক দলগুলো কখনও এড়াতে পারে না। ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সহিংস উগ্রবাদ এখন বৈশ্বিক সমস্যা। এটি বিভিন্ন দেশে নানা প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ভিন্ন রূপ নেয়। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কারণে উগ্রবাদ থেকে সহিংসতা এবং সহিংসতা থেকে জন্ম নেয় জঙ্গীবাদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক অনেক আগেই সহিংস উগ্রবাদ, জঙ্গী ও সম্প্রদায়িক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সফলতাও দেখিয়েছেন। জিরো টলারেন্স দেখিয়ে এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে নানা উপায়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সরকারী অভিযান কর্মসূচীর পাশাপাশি পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায় থেকেও সক্রিয় উদ্যোগ আসতে হবে। এক্ষেত্রে গণজাগরণ সৃষ্টিতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে দেশের গণমাধ্যম। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধ : গণমাধ্যম সহায়িকা’ মিডিয়া রিসোর্স গাইডের মোড়ক উন্মোচন এবং ‘সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ তথ্য কমিশনের সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান-এর সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোঃ রফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরামের মহাসচিব খায়রুজ্জামান কামাল, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি কল্যাণ সাহা, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সেন্টারের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মমতাজ বিলকিস বানু, ডিপ্লোমেটিক কারেসপন্ডেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মাহফুজ মিশু, ঢাকা ট্রিবিউন-এর নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ফাহমিদুল হক প্রমুখ। বুক রিভিউ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শামীম রেজা ও দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার শেখ সাবিহা আলম।
×