ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮

  উবাচ

সমস্যা বয়সে স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচন এলে শরীরটা একটু বিগড়ে যায়। বয়সও হয়েছে, এই বয়সে মানুষ শরীরের চেয়ে মনের জোরেই বেশি চলাচল করেন। বয়সটা যদি হয় ৮৮, তাহলে তো সমস্যা হওয়ারই কথা। নানাজন নানাভাবে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিলেও বেশি বয়সে ব্রেনের চাপ নেয়ার ক্ষমতা কমে যায়। নির্বাচন যেহেতু চাপ আর চিন্তার বিষয় তাই সঙ্গত কারণে ৮৮ বছর বয়সে কারো মাথা বিগড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। এসব সমস্যা নিয়ে কেউ ডাক্তারের কাছে যেতেই পারেন। এইচ এম এরশাদও তাই করেছেন। এ ছাড়া বিকল্প কিছু তো করেননি। দেশে তিনি ডাক্তার দেখিয়ে সুস্থ হতে পারেননি। বিদেশ গেছেন। যেতেই পারেন। নির্বাচন এলেই যেহেতু অসুস্থতা বেড়ে যায় তাই তিনি খুব একটা মানুষের মুখোমুখি হন না। কিন্তু এসব বিষয়েও এরশাদকে নিয়ে নানা রকম কথা শুনতে হয়। তবে এরশাদের কাছাকাছি যারা থাকেন কেবল তারাই টের পান, লোকটার বয়স হয়েছে। এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের অবশ্য বলছেন, ৮৮ বছর বয়সে ‘যতটা’ সুস্থ থাকার কথা, ‘ততটা’ সুস্থ এরশাদ আছেন। তার চিকিৎসা নিয়ে ‘ধূম্ররজালের’ কোন সুযোগ নেই। বাহিরে এক ভিতরে ভিন্ন স্টাফ রিপোর্টার ॥ কুমিল্লা-৪ আসনে চারবারের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল আহসান মুন্সিকে মনোনয়ন দেয়নি বিএনপি। এর বিপরীতে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে জাসদের (রব) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতনকে। গণবিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে মুন্সির সমর্থকরা গুলশান বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন। সংবাদ মাধ্যমে বিক্ষোভকারী বিএনপি কর্মী সোহরাব দাবি করেছেন, মুন্সিভাই আমাদের দলের নেতা, কুমিল্লা-৪ আসনে বিএনপির নেতা। তিনি চারবারের সংসদ সদস্য। তাকে বাদ দিয়ে যাকে দেয়া হয়েছে তিনি কখনই এলাকায় যান না। আমরা তাকে চিনি না, তাকে আমরা মানি না। অবৈধ নমিনেশন মানি না। এটি দলীয় কার্যালয়ের বাইরের আওয়াজ। আর বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে যে রোজকার সংবাদ সম্মেলন করছেন তাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, সারাদেশে নৌকাডুবির আওয়াজ উঠেছে টের পেয়েই নির্বাচন থেকে পালানোর পথ খুঁজছে সরকার। বিএনপির বাইরে আর ভেতরে দুই রকম অবস্থা অনেক দিন ধরেই চলছে। এই নেতা আর কর্মীদের কথাই তার বড় উদাহরণ। সংস্কারপন্থীদের প্রাধান্য স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির দুঃসময়ের নেতা খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে এ্যাডভোকেট খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলুর কান্নায় মন গলেনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। বিএনপিকে টিকিয়ে রাখতে দলটির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ভূমিকা অস্বীকার করতে পারেন না দলের কেউই। সেই হিসেবে প্রয়াত এই নেতার পরিবার থেকে কেউ না কেউ মনোনয়ন পাবেন এমনটা আশা করা হলেও মির্জা ফখরুল ইসলাম পাত্তাই দেননি বিষয়টিকে। কথায় কথায় আবেগে যেমন জল আসে মির্জা ফখরুলের চোখে ঠিক সেইভাবে জল এসেছিল ডাবলু চোখেও। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর সেখানে মানিকগঞ্জ-১ আসনে ডাবলু নিজের নাম না দেখে দলের চেয়ারপার্সন খলেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে যান। প্রথমে নিরাপত্তা রক্ষীরা খোন্দকার দেলোয়ারের পুত্রদের প্রবেশই করতে দেয়নি। পরে প্রবেশ করতে দিলে মির্জা ফখরুলের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করেন ডাবলু। পরদিন তাকে মনোনয়নও দেয় বিএনপি। তার একদিন পরই আবার সেই সিদ্ধান্ত বদলে আগে যেভাবে এম এ জিন্নাহ কবীরকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল ঠিক সেইভাবে মনোনয়ন ঠিক রেখে ডাবলুকে বাদ দেয়া হয়। মনোনয়ন না পাওয়ার প্রতিক্রিয়াতে ডাবলু বলছেন, এবার সংস্কারপন্থীদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। ডাবলুর এই বক্তব্যর মধ্য দিয়ে সেই চিত্র ফুটে উঠল।
×