ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতায় এখনও আঁতকে ওঠে ৮ গ্রামের মানুষ

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

 বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতায় এখনও আঁতকে ওঠে ৮ গ্রামের মানুষ

সাজেদুর রহমান শিলু, দিনাজপুর ॥ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় ৫ বছর চলে গেলেও ভয় কাটেনি দিনাজপুরের কর্ণাইসহ ৮ গ্রামের সংখ্যালঘুর মাঝে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা মনে পড়লে এখনও আঁতকে ওঠেন ৮টি গ্রামের কয়েক হাজার সংখ্যালঘু ভোটার। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বেশ কয়েকটি হিন্দু পরিবার দেশ ছেড়ে চলেও গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৮টি গ্রামের সংখ্যালঘু ভোটারদের মনে ৫ জানুয়ারির আতঙ্ক এখনও বিরাজ করছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় তিনটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর সারাদেশের মতো দিনাজপুরেও নির্বাচনী সহিংসতার অজুহাতে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর একটি অঘোষিত যুদ্ধ শুরু করা হয়। সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশের নিরীহ জনগণের ওপর নির্মম নির্যাতন চালায় দশ মাইল ও দিনাজপুর শহরের মাঝামাঝি বাঁশেরহাট এলাকা। সেখান থেকে দুই কিলোমিটার পশ্চিমে কর্ণাই গ্রামের বাজার। বাজারে আছে শতাধিক দোকান। ১ নম্বর চেহেলগাজী ইউনিয়ন পরিষদে পড়েছে গ্রামটি। বাজার সংলগ্ন উত্তর দিকে কর্ণাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টিতে ভোটকেন্দ্র করা হয়। স্থানীয়রা জানায়, নির্বাচনের দিন সকাল ১০টায় কর্ণাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বেলা বারোটা পর্যন্ত ভালভাবেই চলছিল ভোট গ্রহণ। সেদিন সকাল আটটার আগে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের লোকেরা কর্ণাই বাজার থেকে এক কিলোমিটার উত্তরে প্রিতম পাড়ার সংখ্যালঘুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট দিতে নিষেধ করে। তারপরও ভোট দিতে গিয়েছিল সংখ্যালঘু লোকজন। এই ক্ষোভে ভোট প্রতিরোধকারীরা সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা করে। দোকানের সব মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
×