ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

বিজয়ের মাসে বিজয়ী হতে হবে ভোটের যুদ্ধে

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

বিজয়ের মাসে বিজয়ী হতে হবে ভোটের যুদ্ধে

রাত পোহালেই ১৬ ডিসেম্বর। বাঙালীর মহান বিজয় দিবস। বাঙালী জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ দিবস। বিজয়ের ৪৭ বছর পার করে ৪৮ বছরে সদর্প পদার্পণ করবে। রাজধানী ঢাকা তো আছেই, বাংলার হাজার হাজার গ্রাম-গঞ্জ দিবসটিকে মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে। মুখে ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’। লাখো কোটি মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমরা আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় প্রেসক্লাবে স্থাপিত হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করব। একই সঙ্গে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করব হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। পাকিস্তানী মিলিটারি জান্তা জাতির পিতাকে ২৬ মার্চ ১৯৭১ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার পর গ্রেফতার করে নিয়ে গেলে তার পক্ষে ও নির্দেশে মুজিবনগর সরকারের জাতীয় চার নেতা; মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও নির্যাতিত মা-বোন এবং বেঁচে থাকলেও এক কোটি শরণার্থীর দুঃখ-কষ্টকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, নারী নির্যাতনের স্মারক স্মৃতিসৌধ, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধসহ দেশব্যাপী হাজার লাখো স্মৃতিসৌধ রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের মনে। যেমন আমি এবং আমার বিএলএফ লিডার আবদুল মামুন খানের কাছ থেকে গিয়ে শহীদ হন চাঁদপুরে আমাদের বন্ধু জাভেদ। যেমন ঢাকায় আমার বন্ধু চিশতি শাহ হেলালুর রহমানের মুখ আজও চোখের সামনে ভাসে। চোখের সামনে ভাসে আমার সরাসরি শিক্ষক প্রফেসর ড. মুনীর চৌধুরী, প্রফেসর মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, প্রফেসর আনোয়ার পাশা, প্রফেসর ড. জিসি দেব, প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দিন আহমেদের কথা। কেমন করে ভুলব শহীদ সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেনের কথা, যিনি আমাকে ছাত্র জীবনেই ইত্তেফাকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে মর্যাদার আসনে বসিয়েছিলেন। কেমন করে ভুলব মুক্তিযুদ্ধের ভেতর আমার এলাকায় (বালিথুবা) তিন সদস্যের গোপন ‘সুইসাইডাল স্কোয়ার্ডে’র মধ্যে প্রয়াত কদ্দুস ও বাসুর কথা, যাদের আমি কেবল দুটি ব্যানেট যোগাড় করে দিয়েছিলাম, যা দিয়ে তারা ওই এলাকা মুক্ত রেখেছিল। ওই তিন সদস্যের অন্যতম তাহের এখন জীবিত আছে এবং যদ্দুর শুনেছি তাহের নাকি মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়নি। এমনি হাজারও অনুভূতির মধ্যেও বিজয়ের আনন্দ-অনুভূতি অন্যরকম। লাল-সবুজের পতাকা আর আমার সোনার বাংলা আমাকে মূলধারার পথ দেখায়, মুক্তির শক্তি যোগায়। আমরা এগিয়ে চলি সেই একাত্তরের মতো বীরদর্পে পা ফেলে সব কুটিল চোখ মাড়িয়ে। চাওয়া-পাওয়ার হিসাব নয়, যা পেয়েছি তাকে বুকে আগলে আমাদের পথচলা। এবারের বিজয় দিবস বাঙালী জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্ববহ। দিবসের ১৩ দিন পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যে নির্বাচন হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের অস্তিত্ব রক্ষার। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করে বিজয়ের মাসকে সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার নিয়ে এসেছে এবারের বিজয় দিবস। এই যুদ্ধে হতে হবে জয়ী আমাদের। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় বিজয় দিবসে আপনার অনুভূতি কি? আমি জবাব দিতে পারব না। এ এমন এক অনুভূতি, এমন এক আবেগ যা প্রকাশের কোন ভাষাই নেই। একে কেবল উপলব্ধি করতে হয়। বরং প্রশ্ন করা দরকার স্বাধীনতার এই ৪৭ বছরে আপনি কি পেলেন, জাতি কি পেল? অর্থাৎ তার একটা হিসাব নেয়া দরকার। আমরা যে প্রজন্ম যুদ্ধ করেছি আমরা নই, বরং যে প্রজন্ম স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি হিসাবটা তাদের জন্যই দরকার বেশি। কারণ, তারা ভবিষ্যতের নেতা, রাষ্ট্র পরিচালক। তারা যদি তাদের পূর্ব পুরুষদের না চেনেন, তাদের পূর্ব পুরুষরা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, না রাজাকার ছিল তা তাদের জানতে হবে। নইলে তারা বিভ্রান্ত হতে বাধ্য। পূর্ব পুরুষ বা পিতা, ভাই-বোন মুক্তিযোদ্ধা হলে এক রকম আর রাজাকার হলে আরেক রকম। এটি মানুষের স্বভাবজাত। নইলে স্বাধীনতার এই ৪৭ বছর পরও কি করে একাত্তরের রাজাকার-আলবদরদের বংশধর রাজপথে দেখা যাবে? এখনও কি করে তারা ঘৃণিত রাজনৈতিক দল জামায়াত-শিবির সংগঠিত করার সাহস পায়? দেখা যায় এ জন্য যে, ওই বেজন্মারা সমাজ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়নি। আমরা তাদের নিশ্চিহ্ন করতে পারিনি। বরং তারাই তথাকথিত বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে আমাদের ওপর আঘাত হানছে। বিজয় দিবসকে সামনে রেখে আমরা ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’, ‘আকাশ বাণী’, বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কথা ভুলতে পারি না। যে আমেরিকান প্রশাসন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তখনকার প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিসিঞ্জাররা আমাদের বাংলার মাটি সপ্তম নৌবহরের মিসাইল দিয়ে তামা করতে চেয়েছিলেন; সেই আমেরিকারই কবি ও সঙ্গীতজ্ঞ নোবেল লরেট বব ডিলন, জর্জ হ্যারিসন, জোয়ান বয়েজ, এলেন গিন্সবার্গ, পন্ডিত রবি শংকর, আর্জেন্টিনার, কবি ভিকটোরিয়া ওকাম্পো, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ব্রেজনেভ, কিউবার বিপ্লবী নেতা প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রো, যুগোস্লাভিয়ার টিটো, চিলির আলেন্দে, কানাডার ট্রুডো, এমনি কত শত নাম আমরা কেমন করে ভুলের! যারা কেবল আমাদের স্বাধীনতার পক্ষেই ছিলেন না, বিশ্ব বিবেককে বাংলাদেশের গণহত্যা সম্পর্কে যেমন অবহিত করেছেন, ক্যাম্পেন করেছেন, তেমনি পাকিস্তানের বর্বর সামরিক জান্তার ফাঁসির মঞ্চ থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তিও নিশ্চিত করতে ভূমিকা রেখেছেন। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের, মুজিবনগর সরকারকে সহযোগিতা দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে কানাডার নেতা ট্রুডো পাকিস্তানের কাছে বিক্রি করা অস্ত্রের জাহাজও ফেরত নিয়েছিলেন ওই অস্ত্র আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে বলে। যেমন আমেরিকার নিক্সন প্রশাসন যখন যুদ্ধ জাহাজ সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে মিসাইলের গোলায় বাংলাদেশ তামা করতে চেয়েছিল তেমনি তার জবাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের ব্রেজনেভ প্রশাসন তাদের রণতরী রেড ফ্লিট সমুদ্রে পাঠিয়ে রুখে দিয়েছিল। এমনি হাজারো মুক্তিকামী মানবতাবাদী মানুষ ও বিশ্বনেতা সেদিন আমাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা তাদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়ে সম্মানিত করেছেন। যারা এতদিনে প্রয়াত হয়েছেন তাদেরও মরণোত্তর সম্মানে ভূষিত করেছেন। আজ আমি যে মানুষটির কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করব তিনি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আমাদের মাতৃসম প্রয়াত শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে। তিনি আমাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, অস্ত্র দিয়েছেন, এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছেন, খাবার দিয়েছেন, শীতের কাপড় দিয়েছেন, বাংলাদেশে গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বময় প্রতিবাদ ও বিশ্ব বিবেককে নাড়া দেয়ার জন্য বিশ্বময় ঘুরে বেড়িয়েছেন। অপরদিকে সিনেটর এ্যাডওয়ার্ড কেনেডি, ব্রিটিশ এমপি পিটার শুর ছিলেন সামনের কাতারে। সর্বশেষ মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে মিত্রবাহিনী পাঠিয়ে পাকিস্তানী মিলিটারি জান্তাকে সারেন্ডার করিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের ফাঁসির মঞ্চ থেকে মুক্ত করে দেশে ফিরে আনার পর এক মাসের মাথায় ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়ে যায়, যা ছিল নজিরবিহীন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান-স্মারক। শুধু তাই নয়, বিজয়ের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্স্থাপন, অর্থনীতির চাকা সচল করার কাজে মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। যুদ্ধ দিনে বিশ্বনন্দিত কবি-শিল্পীদের মধ্যে পন্ডিত বরি শংকর, জজ হ্যারিসন, বব ডিলন যেমন আমেরিকায় বাংলাদেশ কনসার্ট করেছেন, তেমনি এ্যাডওয়ার্ড কেনেডি ভারতের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। ইন্দিরা গান্ধী শরণার্থী শিবির ঘুরে আকাশ বাণীতে কাঁদতে কাঁদতে যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন তা যুদ্ধক্ষেত্রে আমার শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেদিন আমাদেরও চোখের জল পড়েছিল। এ্যালেন গিন্সবার্গ ছিলেন আমেরিকান কবি। তিনি ভারতের কলকাতা থেকে যশোর রোড হয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত আসেন। পথে পথে প্রাণভয়ে নারী-শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধার যে স্রোত, প্রাণ বাঁচানোর যে আপ্রাণ চেষ্টা, বর্ষার কাদা মাটি দিয়ে যে কষ্টের চলা তা তিনি তার ‘ঝবঢ়ঃবসনবৎ ড়হ ঔবংংড়ৎব জড়ধফ’ কবিতায় বিবৃত করেছেন এবং যা পরে গান হয়েছে। যা ইউটিউবে গেলে পাওয়া যাবে। অবশ্য বাংলা অনুবাদ করে গানও হয়েছিল। এই ৪৭ বছরে আমরা কি পেয়েছি কি হারিয়েছি তার একটা সালতামামি হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি। কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মিলিটারি জিয়া, খালেদা আমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালীর দীর্ঘ সংগ্রাম, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু সব ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে মূলধারা থেকে বিচ্যুত করে পাকি ধারায় নিয়ে যেতে চেয়েছিল। ওই চক্রান্তের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এসে আবার আমাদের মূল ধারায় নিয়ে এসেছেন, যা বঙ্গবন্ধুর ধারা, শহীদদের ধারা। আজকের নিবন্ধে আমরা কি পেয়েছি তা প্রথমে সংক্ষেপে আলোচনা করব। আল্লাহর রহমতে আমরা জাতির পিতার কন্যা আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পেয়েছি, যিনি আমাদের জন্য অনেক সম্মান এনে দিয়েছেন, দুই ডজনেরও বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিদেশী) ডক্টরেট ডিগ্রী এনে দিয়েছেন, আমাদের পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, ঢাকা-চট্টগ্রামে একটার পর একটা ফ্লাইওভার, খাদ্য উদ্বৃত্ত বাংলাদেশ, বিদ্যুত সঙ্কটের সমাধান, স্থল ও জলসীমা সঙ্কটের সমাধান, পার্বত্য চট্টগ্রাম সঙ্কটের সমাধান, আজ মানুষ পেট ভরে ভাত-ডাল-মাছ খাচ্ছে, ভাল ভাল কাপড় পরছে, আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮+ বা ফরেন কারেন্সি রিজাভ, সর্বোপরি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, যা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ প্লেনের মতো টেক অফ করেছে। এককালে ‘মঙ্গা’, ‘দুর্ভিক্ষ’ শব্দ আজ আর জীবনে নেই, ডিকশনারিতে ঢুকে গেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা এখনও কি পাইনি তা হলো একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ হয়নি। বরং নিবন্ধনহীন দল জামায়াতের প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে ড. কামালের নেতৃত্বাধীন বিএনপির পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসনে ঐক্যফ্রন্ট অবিরাম চেষ্টা চালাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে দেশে অরাজক অবস্থা তৈরি করা হচ্ছে। মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা কখনও কখনও মূলধারা থেকে বিচ্যুত হচ্ছি। এখনও ক্রিমিনালাইজেশন এবং সামাজিক ওয়ার ক্রিমিনালাইজেশন যত ক্ষীণই হোক অব্যাহত আছে। এখান থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটাতে হবে এবং আমরা পারব। এবার বিজয়ের মাসে আমাদের বিজয়ী হতে হবে ভোটের যুদ্ধে। আমাদের জীবন থেকে মুছে যাক স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। ঢাকা : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ লেখক : সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব ও সিনেট সদস্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় [email protected]
×