ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ক্ষমতায় এলে দেশের ৮ বিভাগকে প্রদেশে উন্নীত করা হবে

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

 ক্ষমতায় এলে দেশের ৮ বিভাগকে প্রদেশে উন্নীত করা হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় এলে দেশে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ ১৮ দফা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে। দলটির নির্বাচনী ইশতেহারে এ কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে দেশে বিদ্যমান ৮ বিভাগকে প্রদেশে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। শুক্রবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের বনানী অফিসে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। জাপা চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী হিসেবে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার দলের পক্ষে এই ইশতেহার ঘোষণা করেন। এ সময় জাতীয় পার্টির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও কথা বলেন সাবেক মহাসচিব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য দেলোয়ার হোসেন খান, এস এম ফয়সল চিশতী, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান ও আলমগীর সিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক ও শেখ আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম, হেলাল উদ্দিন, একেএম আশরাফুজ্জামান খান প্রমুখ। অবশ্য দলের নবনিযুক্ত মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে সংবাদ সম্মেলনে দেখা যায়নি। রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় এলে এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে দেশের বর্তমান আট বিভাগকে আটটি প্রদেশে উন্নীত করা হবে। প্রদেশগুলোর নাম হবে উত্তরবঙ্গ, বরেণ্য, জাহাঙ্গীরনগর, জালালাবাদ, জাহানাবাদ, চন্দ্রদ্বীপ, ময়নামতি ও চট্টলা। ১৮ দফা কর্মসূচীর মধ্যে আরও রয়েছে নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার, পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষা করা, কৃষকের কল্যাণ সাধন, সন্ত্রাস দমনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি স্থিতিশীল রাখা। পাশাপাশি সারাদেশে পর্যায়ক্রমে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং প্রত্যেক উপজেলায় কৃষিভিত্তিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা। এছাড়া ফসলি জমি নষ্ট না করা। খাদ্য নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। শিক্ষা পদ্ধতির সংশোধন আনা। স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ। শান্তি ও সহঅবস্থানের রাজনীতির প্রবর্তন। সড়ক নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। গুচ্ছগ্রাম, পথকলি ট্রাস্ট পুনর্প্রতিষ্ঠা। পল্লী রেশনিং চালু করা। শিল্প অর্থনীতির সাধনে সব ধরনের নীতি নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা করা। লিখিত ইশতেহারের ভূমিকায় রয়েছে, মহান স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের চেতনা, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং যথার্থভাবে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় পার্টি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাত্রায় শামিল হতে যাচ্ছে। এই অভিযাত্রায় গন্তব্যস্থল হবেÑ দেশ ও জনগণের কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যেÑ ক্ষমতা গ্রহণ করা। বর্তমান দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ শাসন পদ্ধতি হচ্ছে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা। এই শাসন ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীনদের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হয় এবং জনগণের কাছেই জনপ্রতিনিধিদের কাজের জবাবদিহি করতে হয়। সেই কৈফিয়াতের একটি অন্যতম ক্ষেত্র হচ্ছে নির্বাচন। এটাই হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের পরীক্ষা দেয়ার সময়। জাতীয় পার্টি সেই পরীক্ষা দেয়ার জন্য এখন প্রস্তুত। জাতীয় পার্টির অতীত ও বর্তমানের খতিয়ান বিচার বিশ্লেষণের ভার জনগণের কাছে তুলে ধরে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নিয়ে এই ইশতেহার প্রণয়ন করা হলো। লিখিত ইশতেহারে বলা হয়, বিগত দিনে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা যেভাবে পরিচালিত হয়েছে তা আপামর দেশবাসীর কাছে প্রত্যাশিত ছিল না। আগামী দিনের সরকার পরিচালনায় জাতীয় পার্টির প্রথম অঙ্গীকার হচ্ছে দেশে সকল ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, সুষ্ঠু গণতন্ত্রের বিকাশ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা। গণতন্ত্র অর্থবহ করতে হলে গণতন্ত্রের মাধ্যমে দেশের মানুষেরও কল্যাণ সাধন করতে হবে। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে এবার জাতীয় পার্টি আঠারোটি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। ১৮ দফার অঙ্গীকার এদেশের জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক। জাতীয় পার্টির উন্নয়ন কর্মকান্ডের মূলভিত্তি ছিল ১৮ দফা কর্মসূচীর বাস্তবায়ন। এর ফলে দেশে উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও সংস্কারের এক নবদিগন্ত সৃষ্টি হয়েছিল। জাতীয় পার্টির শাসনামলের সেই উন্নয়নের চিহ্ন দেশ এখনও ধারণ করে আছে। যারা ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দেশ পরিচালনা প্রত্যক্ষ করেছেন তারা এখনও স্মরণ করেন সেই স্বর্ণোজ্জল দিনের কথা। অর্থনৈতিক মুক্তি, সামাজিক নিরাপত্তা, সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়া, ভোট আর ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আশায় এদেশের জনগণ বারবার আন্দোলন করেছে, রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে, একের পর এক সরকার পরিবর্তন করেছে, কিন্তু তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। তবে এসব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় আজ স্পষ্ট হয়েছে কোন রাজনৈতিক দল জনগণের প্রকৃত বন্ধু হতে হবে কোন দল দেশের উন্নয়ন ঘটাতে কোন দল দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে দেশ পরিচালনা করতে পারে। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সব বিবেচনা এবং সব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এটা আজ প্রমাণিত ও পরীক্ষিত সত্যি যে, জাতীয় পার্টিই হচ্ছে সেই রাজনৈতিক দল। ৯ বছরের সরকার পরিচালনার সাফল্যের অভিজ্ঞতা ও ভূমিকা পালনের অভিজ্ঞতা নিয়ে জাতীয় পার্টি আগামীতে সরকারে থাকার দৃঢ় আশা ব্যক্ত করে। আগামী দিনের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং নতুন প্রজন্মের জন্য আগামী অর্ধশতাব্দী সময়কে সামনে রেখে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় পার্টি নতুনভাবে ১৮ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করছে। দুই স্তরবিশিষ্ট সরকার কাঠামো গঠনের কথা তুলে ধরে ইশতেহারে বলা হয়: (১) কেন্দ্রীয় সরকারকে বলা হবে ফেডারেল সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারে থাকবে ৩শ’ আসনের জাতীয় সংসদ এবং প্রাদেশিক সরকার। প্রাদেশিক সরকারে থাকবে প্রাদেশিক সংসদ। প্রতি উপজেলা কিংবা থানাকে প্রাদেশিক সরকারের একেকটি আসন হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এছাড়া দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থার একটা আমূল সংস্কার করা হবে। ঢাকা শহর থেকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ সদর দফতর প্রাদেশিক রাজধানীতে স্থানান্তর করা হবে। নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কারের কথা উল্লেখ করে হাওলাদার বলেন, নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার করে আনুপাতিক ভোটের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিধান করা হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দেয়া, সন্ত্রাস, অস্ত্র ও কালো টাকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার করে ভবিষ্যত বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে হয় তো সর্বোচ্চ পাঁচ বছর লাগবে। পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তনের কথা উল্লেখ করে ইশতেহারে বলা হয়, জাপা ক্ষমতায় গেলে এক বছরের মধ্যে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া পাঁচ বছরের মধ্যে মামলার জট শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা দায়েরের প্রবণতা বন্ধ করা, প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে প্রত্যেক প্রাদেশিক রাজধানীতে হাইকোর্টের বেঞ্চ বসানো হবে। ধর্মীয় মূল্যবোধকে সবার উর্ধে স্থান দেয়ার কথা উল্লেখ করে ইশতেহারে বলা হয়, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরসহ সব ধর্মীয় উপসনালয়ের বিদ্যুত ও পানির বিল মওকুফ করে দেয়া হবে। কৃষকদের ভর্তুকি মূল্যে সার, ডিজেল, কীটনাশক সরবরাহ ও কৃষি উপকরণের কর-শুল্ক মওকুফ করা, সহজ শর্তে কৃষি ঋণ বিতরণ, পাশাপাশি কৃষকদের বিরুদ্ধে কোন সার্টিফিকেট মামলা না হওয়ারও অঙ্গীকার রয়েছে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি দমনে আরও কঠোর আইন প্রণয়নের কথা ইশতেহারের সাত দফায় বলা হয়, সন্ত্রাসসহ অপরাপর অপরাধ দমন করা কঠিন কোন কাজ নয়Ñ এ বিষয়ে সরকারের সদিচ্ছাই বড় কথা। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে তিন মাসের মধ্যে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি সমূলে নির্মূল করা হবে। হত্যা-খুন-গুম-ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করা হবে। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি স্থিতিশীল রাখা হবে, পর্যায়ক্রমে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে এবং প্রত্যেক উপজেলায় কৃষিভিত্তিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা, উত্তরবঙ্গে শিল্পায়নের ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মঙ্গা প্রতিরোধের উদ্যোগ নেয়া ও অনগ্রসর অঞ্চলে শিল্প স্থাপনে অগ্রাধিকার দেয়া হবে তবে ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। খাদ্যে ভেজাল কিংবা খাদ্যে বিষাক্ত পদার্থ মেশানোর বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন সংশোধন করে মৃত্যুদ-ের বিধান রাখার অঙ্গীকার করে ইশতেহারে বলা হয়, শিক্ষা পদ্ধতি সংশোধনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টিউশন নির্ভরতা কমানো হবে এবং কোচিং ব্যবসা বন্ধ করা হবে ও সুলভ মূল্যে শিক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করা হবে। দেশে একটি স্বতন্ত্র ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহারে বলা হয়, কওমি মাদ্রাসার সনদকে স্বীকৃতি দেয়া হবে। দেশে সুষম শিক্ষা বিস্তারের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে রংপুরে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় এবং রংপুরে শিক্ষাবোর্ড স্থাপন করা হবে। এছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের পাশাপাশি হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক এবং জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করা হবে। শান্তি ও সহাবস্থানের রাজনীতি প্রবর্তনের মাধ্যমে সত্যিকার গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটানো হবে। চালু করা হবে পল্লী রেশনিং। ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে ইশতেহারে বলা হয়, সাধারণ নির্বাচন বাদে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ত্রিশটি আসন সংরক্ষিত করা হবে। সেক্ষেত্রে সংসদের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৮০। এর জন্য সংবিধানে সংশোধনী আনা হবে। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সংখ্যার হার অনুসারে তাদের চাকরি ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় কমিশন গঠন করা হবে। দেশ এখন এক ভয়াবহ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে- উল্লেখ করে ইশতেহারে বলা হয়, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের সময় সমাগত। এখন আর আমাদের ভুল করার কোন সুযোগ নেই। তাহলে বিপর্যয়ের অতলে হারিয়ে যেতে হবে। গোটা বিশ্ব এখন নতুন এক শতাব্দীর যৌবনকালে পদার্পণ করেছে। এ সময়ে দেশে দেশে নতুন তথ্য ও প্রযুক্তি বিস্তার লাভ করেছে এবং অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের আর পিছিয়ে থাকার অবকাশ নেই। সমকালীন মানবগোষ্ঠীর জন্য এখন এগিয়ে যাওয়ার সময়। জাতীয় পার্টি আধুনিক চিন্তা-চেতনা এবং নীতি-আদর্শের একটি দল। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্যে এই দল সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশ ও জনগণের কল্যাণে সবসময় ব্রত থাকবে। নিজের অবস্থান তুলে ধরলেন হাওলাদার ॥ জাপা চেয়ারম্যানের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত হাওলাদার বলেন, দলে কোন সমস্যা নেই। দল পরিচালনার দায়িত্বে এইচএম এরশাদই আছেন। নির্বাচনকালীন দায়িত্বে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। নির্বাচনের পরে আমরা আবারও বসব, তখন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। হাওলাদার বলেন, ‘আমার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি হাইকোর্টে আটকে আছে। তাই পার্টি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতি আমাকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ নির্বাচনী প্রচারে এই মুহূর্তে ময়মনসিংহে আছেন, কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের কাদের আছেন রংপুরে। আমার নির্বাচনে অংশগ্রহণ হাইকোর্টে আটকে না গেলে আজকে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে আমিও থাকতাম না। যারা ঢাকায় আছেন তারাই ঘোষণা করতেন। এটাকে অন্যভাবে নেয়ার সুযোগ নাই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাউন্সিলররাই জাপা চেয়ারম্যানকে দলের গঠনতন্ত্রের যে কোন ধারা প্রয়োগের ক্ষমতা দিয়েছেন। সে ক্ষমতা বলেই তিনি আমাকে এ দায়িত্বে নিয়োজিত করেছেন। যেহেতু নির্বাচনকালীন ব্যস্ততার কারণে সিনিয়র কো- চেয়ারম্যান এবং কো-চেয়ারম্যান ঢাকায় নেই, সে কারণেই চেয়ারম্যান তার অনুপস্থিতিতে সাংগঠনিক কার্যক্রম আমাকে চালিয়ে নিতে নিয়োজিত করেছেন। নির্বাচনের পরে আবারও এসব দায়িত্ব পুনর্বণ্টন হবে।
×