ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খাঁজকাটা পাইল স্থাপন চলছে

পদ্মা সেতুর কাজে প্রতিদিনই অগ্রগতি হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

 পদ্মা সেতুর কাজে প্রতিদিনই অগ্রগতি হচ্ছে

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মাওয়া থেকে ফিরে ॥ পদ্মা সেতুর কাজে প্রতিদিনই হচ্ছে অগ্রগতি। দিনরাত চলছে কর্মযজ্ঞ। দৃশ্যমান সেতুর ভিতের কাজে এখন অনেক অগ্রগতি। বড় একটি চ্যালেঞ্জ খাঁজকাটা (ট্যাম) পাইল বাস্তবায়নের কাজ এখন চলমান রয়েছে। গত শনিবার শুরু হওয়া এই পাইল স্থাপনও এখন সফলভাবে এগোচ্ছে। বিশ্বে প্রথমবারের মতো পদ্মায় স্থাপিত হচ্ছে বিশেষ ধরনের এই পাইল। ইতোমধ্যেই ৩২ নম্বর খুঁটির ৩ ও ৫ নম্বর খাঁজকাটা পাইল স্থাপন হয়েছে। এই খুঁটিতে এমন আরও পাঁচটি পাইল বসবে। এগারোটি খুঁটিতে এমন সাতটি করে পাইল স্থাপন হবে। সেই লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলেছে। এদিকে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের তিন বছর ছিল গত বুধবার (১২ ডিসেম্বর)। ২০১৫ সালের এই দিনে অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে দিনরাত কাজ হচ্ছে। যখন সেতু দৃশ্যমান, বাস্তবতা সময়ের ব্যাপার মাত্র। সেই সময়ে অর্থাৎ তিন বছর পর সেই ১২ ডিসেম্বরের সে রকমই একটি সকালে কাকতলীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়ার পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা অতিক্রম করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার মুন্সীগঞ্জ হয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং মাজার জিয়ারতের পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন। পদ্মা পার হওয়ার সময় তার সাহসের ফসল পদ্মা সেতু দৃশ্যমান দেখে অভিভূত হন। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের সোনালী ভবিষ্যত গড়ে তুলতে ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের আট বছরে আর কোন অগ্রগতি হয়নি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেমে থাকা প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেন। ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ঋণচুক্তি বাতিল করায় ২০১৩ সালের ৪ মে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৪ সালের মার্চে শুরু হয় পাইলিং কাজ। এরপর থেকে কর্মযজ্ঞ থেমে নেই। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের পর থেকে দিনরাত বিশাল কর্মযজ্ঞে আর অগ্রগতি চলমান। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী শরফুল ইসলাম বলেন, সার্বিক হিসেব মিলিয়ে পদ্মা সেতুর নদী শাসনের অগ্রগতি এখন ৪৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
×