অনলাইন ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সত্য কথা বলেন না বলে অভিযোগ করেছেন তার সাবেক ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন। ট্রাম্পের নোংরা কাজের দায় তাকে নিতে হচ্ছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
কোহেন বলেন, ট্রাম্প জানতেন নির্বাচনের আগে তার সঙ্গে সম্পর্ক থাকা নারীদের মুখ বন্ধ রাখতে অর্থ দেওয়া অন্যায়। তারপরও ট্রাম্প তা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অবৈধভাবে ওই অর্থ দিয়ে নির্বাচনী প্রচারের আর্থিক নিয়ম ভঙ্গ করাসহ একাধিক অভিযোগে গত বুধবার কোহেনের তিনবছরের জেল হওয়ার পর এবিসি নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বললেন তিনি। শুক্রবার সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়েছে।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি কখনো কোহেনকে আইনভঙ্গ করতে বলেননি। বৃহস্পতিবার এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, “তিনি একজন আইনজীবী। তাই ধরেই নেওয়া যায় তিনি আইন জানেন।” প্রেসিডেন্টকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতেই কোহেন দোষ স্বীকার করেছেন বলেও ট্রাম্প উল্লেখ করেন।
ট্রাম্পের দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেন কোহেন বলেন, “ট্রাম্পের শিবিরে তাকে না জানিয়ে কখনোই কোনো কিছু করা হয়নি।”
দুই নারীকে অর্থ দেওয়ার বিষয়ে সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হলে কোহেন বলেন, “তারা নির্বাচনের ওপর কী প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিলেন ট্রাম্প। তাই (ট্রাম্প) এবং তার নির্বাচনী প্রচার নির্বিঘ্ন রাখতে দুই নারীকে অর্থ দেওয়া হয়েছিল।”
কোহেন আরো বলেন, “তিনি যা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ, বিশ্বের মানুষ, কেউই তা বিশ্বাস করে না। এই লোক সত্য কথা বলেন না এবং তার নোংরা কাজকর্মের দায়ভার আমাকে নিতে হচ্ছে, এটি দুঃখজনক।”
