স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার, অভিনয়শিল্পী এবং লেখক আমজাদ হোসেনের মরদেহ দেশে আনার জন্য প্রস্তুতি চলছে। মরহুমের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের স্ত্রী রাশেদা আক্তার লাজুক জানান, কিছু কাগজপত্রের ক্লিয়ারেন্সসহ আরো কাজ বাকি রয়েছে। তাই মরদেহ দেশে আনতে বিলম্ব হচ্ছে। এদিকে ব্যাংককে কাল রবিবার হলিডে এবং বাংলাদেশে বিজয় দিবসের ছুটি। তাই মরদেহ আনতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। তবে সবকিছু দ্রুত করার চেষ্টা করছে দোদুল। এখানে সবকিছু হয়ে গেলে দ্রুত ব্যাংককে রওনা করবে দোদুল।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে ব্যাংককের বামর নগ্রাদ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন আমজাদ হোসেন। তিনি স্ত্রী আর চার ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। উল্লেখ্য, দেশে প্রাথমিক চিকিৎসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় আমজাদ হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক নেওয়া হয়। গত ২৭ নবেম্বর মধ্যরাতে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বামর নগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে তিনি প্র্যাত নিউরোসার্জন টিরা ট্যাংভিরিয়াপাইবুনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরিচালক আমজাদ হোসেনের জনপ্রিয় ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমণি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’, ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ ইত্যাদি। ১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এ ছাড়া তিনি আরও ১৪ বার জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার।
শীর্ষ সংবাদ: