ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ভোটকক্ষে ছবি তোলা যাবে, লাইভ নয় : সিইসি

প্রকাশিত: ০১:৪৫, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

ভোটকক্ষে ছবি তোলা যাবে, লাইভ নয়  :  সিইসি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ভোটকক্ষের ভেতরে ছবি তোলা যাবে। কিন্তু সেখান থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। আজ শনিবার বিকেলে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এ কথা বলেন। কে এম নুরুল হুদা বলেন, আচরণবিধি, কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, পর্যবেক্ষক, সাংবাদিকরা কী কার্যক্রম চালাবেন বা সুযোগ-সুবিধা পাবেন তা নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আচরণবিধি প্রতিপালন নিয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে টেলিভিশনগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে। সিইসি বলেন, পর্যবেক্ষক, সাংবাদিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি-ভোটকক্ষের ভেতরে কোনো লাইভ প্রচার করা যাবে না। কেন্দ্রে সীমিত আকারে সাংবাদিকদের যেতে হবে, যাতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের অসুবিধা না হয়। বাংলাদেশি পর্যবেক্ষদের জন্য নীতিমালা আছে, বিদেশিদের জন্যও নীতিমালা আছে। সেগুলো মানতে হবে। কেন্দ্রের ভেতরে বেশিক্ষণ থকতে পারবেন না। লাইভ সংবাদ প্রচার করতে পারবেন না। ভোটকক্ষের বাইরে লাইভ করতে পারবেন। কে এম নুরুল হুদা বলেন, গোপন কক্ষের ফটো তোলা যাবে না। মোবাইল ফোনেও গোপন কক্ষ বাদে ফটো তোলা যাবে। যেখানে ভোট পরিচালনা করা হয়, যেখানে পোলিং, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট বসেন, সেখানে লাইভ করা যাবে না। বারান্দায় এসে লাইভ করা যাবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের কাজে যেন ব্যাঘাত না করে, এজন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটকক্ষে গিয়ে যদি ৩০-৪০ জন যান, সাংবাদিকরা একসঙ্গে গেলে তো তারা কাজ করতে পারবেন না। প্রিজাইডিং অফিসার বলবেন, কতজন যেতে পারবেন। প্রিজাইডিং কর্মকর্তার ব্যবস্থাপনার ওপর রেসপেক্ট থাকতে হবে। তাঁর কথা মানতে হবে। নুরুল হুদা আরো বলেন, ভোটকক্ষের ভেতরে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না। তবে মোবাইল ব্যাংকিং ও ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। আচরণবিধি ভঙ্গের ব্যাপারে সিইসি বলেন, আমরা নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করেছি ১২২টি। তাদের কাছে অভিযোগ করলে ভালো হয়। নির্বাচনের দায়-দায়িত্ব বেশিরভাগ রিটার্নিং কর্মরকর্তার হাতে। এ ছাড়া নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আছে, তাদের কাছেও অভিযোগ দেওয়া যাবে। বিরোধী দলগুলোর ওপর পুলিশী হামলা ও হয়রানির বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মহাপুলিশ পরিদর্শককে কাল-পরশুর মধ্যেই চিঠি দেব, যেন নিষ্পপ্রয়োজনে কোনো প্রার্থী, প্রার্থীর কর্মীদের ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে জড়িত না থাকলে যেন হয়রানি, গ্রেপ্তার না করা হয়। লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে বলেও মনে করার কথা জানান সিইসি। তিনি বলেন, প্রার্থীরা প্রচার কাজ চালাতে পারছে। আমি মনে করি লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে কেএম নুরুল হুদা বলেন, সেনাবাহিনী সিআরপিসির ধারা অনুযায়ী পরিস্থিতি বিবেচনায় আটক করতে পারবে। তবে তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও কবিতা খানম এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
×