ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঝিনাইগাতীতে আ’লীগের ৪ কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

ঝিনাইগাতীতে আ’লীগের ৪ কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুরের নকলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ, নির্বাচনী অফিসে হামলা-পাল্টা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার টালকী ও চরঅষ্টধর ইউনিয়নে ওইসব ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত: ২৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৮ রাউ- রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে থানায়। মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদুর রহমান, মোবারক হোসেন বিএসসি, মাইনুল ইসলাম মোহন, রহুল আমীন, হাফিজুল হাসান, মাঈন উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম ও ফরহাদ হোসেনসহ ৮ বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ সুলতানা ২৪ ডিসেম্বর শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করে তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে একই রাতে ঝিনাইগাতীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক চাঁনের ৪টি নির্বাচনী অফিসে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে নকলার উপজেলার টালকী ইউনিয়নের রামেরকান্দি বাজারে নির্বাচনী বিষয়াদি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। ওই সময় সেখানে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে এবং বিএনপির নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর হয়। হামলায় টালকী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মেগা মিয়া, যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন, তার ভাই মনির হোসেন এবং ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জহিরুল হক কেশু, টালকী ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুলসহ উভয় দলের ১৫ নেতা-কর্মী আহত হন। খবর পেয়ে নকলা থানা পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত ৮টার দিকে চরঅষ্টধর ইউনিয়নের নারায়ণখোলা বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উভয় পক্ষের আরও ১০ নেতা-কর্মী আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওইসব ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ-বিএনপি পরস্পরকে দোষারোপ করছে। এদিকে শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে ঝিনাইগাতীতে নৌকা প্রতীকের ৪টি প্রচার কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা যুবলীগ কার্যালয়সহ রাংটিয়া, তিনানী, বনগাঁও ও ধানশাইল বাজারের ৪টি নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্প লক্ষ্য করে একযোগে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তরা। ওই সময় দলীয় নেতা-কর্মীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ছুটাছুটি করতে থাকে। ঘটনার পরপরই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপজেলা সদর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ওই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মীদের দায়ী করা হচ্ছে।
×