ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডা. কামালের মাথা ঠিক নাই : তোফায়েল

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

ডা. কামালের মাথা ঠিক নাই  : তোফায়েল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥ ভোলা-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ড. কামালের উদ্দ্যেশে বলেছেন,তার লজ্জিত হওয়া উচিত । আমি অবাক হয়ে যাই। তিনি যদি রাজনীতি না করতে। সে তো রাজনীতি থেকে প্রায় চলেই গিয়েছিলো। সে যদি এখানে এসে বিএনপিকে উদ্ধারের চেষ্টা না করতো তাহলে তো মানুষ তাকে ঘৃনা করতো না। অশ্রাদ্ধা করতো না। কোন লোকটা তাকে শ্রদ্ধা করে। আজ শনিবার দুপুরে ভোলা সদর রোডে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরন কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। এছাড়াও তিনি বিকালে ভোলা সদর উপজেলার উত্তর গিঘলদী ইউনিয়নের ঘুইংঘারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এদিকে আওয়ামী লীগের এই নির্বাচনী প্রচার প্রচারনাকে কেন্দ্র করে উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসব আমেজ বিরাজ করে। দুপুরের পর থেকে দলে দলে নারী পুরুষ পথ সভা স্থলে উপস্থিত হতে থাকে। এসময় সরকারের ১০ বছরের উন্নয়নের দৃশ্যমান সচিত্র প্রতিবেদন প্রদর্শনের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রচারনা করা হয়। অপর দিকে রাতে ভোলার কাচিয়া ইউনিয়নের পরানগঞ্জ বাজারের হালিমা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। তিনি আরো বলেন, গতকাল ১৪ ডিসেম্বর বৃদ্ধিজীবি দিবসে তিনি কাদের সাথে শহীদ মিনারে গেছে। যার বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের সাথে শহীদ মিনারে গিয়েছেন। আর সাংবাদিকরা প্রশ্ন রেছে জামায়াত সর্ম্পকে মূল্যায়ন কি? তিনি ওমনি ক্ষেপে গেছেন। সে সাংবাদিকদের বলে কত টাকা খেয়েছে। একথা গুলো তিনি কি ভাবে বলতে পারে সাংবাদিকদের কি সম্মান নাই। আবার সাংবাদিকদের বলে দুই টাকা পেয়েছ আমি চার টাকা দিবে। এসব কি বলে না বলে আমার মনে হয় ডা. কামালের মাথা ঠিক নাই। তোফায়েল ভোলার বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, ভোলা-চরফ্যসন সড়ক ১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা হয়েছে। ভোলা থেকে ইলিশা-জংসন রাস্তা আমাদের করা। ভোলার রাস্তা ঘাট পুল কালভার্ট যা প্রয়োজন ছিলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছি। ভোলার প্রত্যেকটি গ্রাম এখন শহর। রাস্তা পাকা, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ থাকায় মানুষ অনেক সুখে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জাতীয় পার্টিও দেশে ক্ষমতায় ছিলো, কিন্তু ভোলার উন্নয়ন করেনি। আমরাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যায়ে এখানকার নদী ভাঙ্গন রোধ করেছি। তার কারণে নদী পাড়ের মানুষের মুখে হাঁসি ফুটেছে। আমি যখন সেখানে যাই, মানুষ আমাকে আনন্দে বুকে জড়িয়ে নেয়। এসময় তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভোলার প্রধান সমস্যা ছিলো নদী ভাঙ্গন । তা আমি রোধ করেছি। এখন আমার স্বপ্ন ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মান করা । তাও করবো। তিনি আরো বলেন, ভোলায় কোন রাজনৈতিক হানাহানি নেই। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে ভোলার ৪টি সংসদীয় আসনে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে মানুষ তার মূল্যায়ন করবে। ইনশাল্লাহ আবারো আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দ্বায়িত্ব লাভ করবে। ভোলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ মাতাব্বরের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন,জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব,ইউপি চেয়ারম্যান লিযাকত হোসেন মুনছুর প্রমুখ।
×