ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ড. কামালকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮

ড. কামালকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জামায়াতের সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিককে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের দেখে নেয়ার হুমকির ঘটনায় তোলপাড় সারাদেশ। একদিকে জামায়াত তোষণ অন্যদিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে সন্ত্রাসীসুলভ আচরণে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ড. কামালকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে সাংবাদিক সমাজ। বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে আজও। হুমকির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কুষ্টিয়ায়। ড. কামালের তৎপরতার প্রতিবাদে সোচ্চার রাজনীতিবিদরাও। সাংবাদিককে হুমকি ও ‘কত পয়সা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করতে?’ ড. কামালের এ ধরনের প্রশ্নে প্রতিবাদকারীরা পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘জামায়াতকে রক্ষায় আপনি কত টাকা পেয়েছেন ড. কামাল হোসেন? জামায়াতের কাছ থেকে কত টাকা খেয়ে তাদের পক্ষে ওকালতি করছেন? আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে এ ঔদ্ধত্যপূর্ণ এ বক্তব্যের দাঁত ভাঙা জবাব দেয়া হবে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রতিবাদকারীরা বলেছেন, ‘মাওলানা ভাসানী ‘খামোশ’ বলেছেন পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীকে আর ড. কামাল হোসেন খামোশ বলেছেন দেশের সাংবাদিকদের।’ ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ড. কামাল হোসেনের সাংবাদিকদের হুমকির ঘটনা থেকে। একদিকে স্বাধীনতা বিরোধী বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী জামায়াতকে ক্ষমতায় আনতে তাদের সঙ্গে একাকার হয়ে নির্বাচন অন্যদিকে সেই শহীদদেরই প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। এমন রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উল্টো থামিয়ে দিতে ‘খামোশ’ বলে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। জামায়াতের সঙ্গ না ছাড়লে বিএনপিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে নেয়া হবে না উল্লেখ করলেও এখন জামায়াতই হয়ে উঠেছেন এই জোটের অন্যতম শক্তি। জামায়াতের ২২ জন প্রার্থীকে বিএনপি আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন দিয়েছে। এছাড়া আরও তিন জন বিদ্রোহী হিসেবে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছে। এসব প্রার্থী এখন ড. কামাল হোসেনদেরই প্রার্থী। স্বাধীনতা বিরোধী এই শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে ড. কামালের এই প্রচেষ্টায় সমগ্র জাতি বিস্মিত হয়েছে আগেই। অনেকেই বলছেন ড. কামালের জামায়াত রক্ষার কৌশল আসলে তার ভেতরের মূল চেতনারই প্রকাশ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কামাল বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে যারা কাজ করছে, লোভ লালসা নিয়ে লুটপাট করছে, তাদের হাত থেকে এই দেশকে মুক্ত আমরা করবই। যত শক্তিধর হোক তারা, দেশের মালিক জনগণের কাছে তাদের নত হতে হবে, তাদের পরাজয় হবেই। সাংবাদিকরা এ সময় স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কামাল বলেন, শহীদ মিনারে এসব বিষয়ে কোন কথা তিনি বলবেন না। তিনি বারবার এ সময় বলেন শহীদদের কথা চিন্তা কর। শহীদদের কথা চিন্তা কর। এরপর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। তারপরও তারা ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে নির্বাচন করছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ক্ষেপে যান ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, প্রশ্নই ওঠে না। বেহুদা কথা বল। কত পয়সা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করতে? কার কাছ থেকে পয়সা পেয়েছ? তোমার নাম কি? জেনে রাখব তোমাকে। চিনে রাখব। পয়সা পেয়ে শহীদ মিনারকে অশ্রদ্ধা কর তোমরা। আশ্চর্য! কি নাম তোমার একজন সাংবাদিকের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিলে ওই সাংবাদিক বলেন, তিনি যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক। নাম ভাস্কর। উত্তরে ড. কামাল বলেন, চিনে রাখলাম তোমাকে। পাশে থাকা দুই একজন নেতা এ সময় কামাল হোসেনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আরেকজন সাংবাদিক এ সময় প্রশ্ন চালিয়ে গেলে ধমকে ওঠেন কামাল। তিনি আবারও বলেন, শহীদদের কথা চিন্তা কর। হে হে হে হে করছে! শহীদদের কথা চিন্তা কর। চুপ কর। চুপ কর। খামোশ। ড. কামালের এমন ক্যাডারের মতো আচরণের খবর শুক্রবার গণমাধ্যমে প্রচারের পর থেকেই দেশজুড়ে সমালোচনার জন্ম দেন। সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে ঘটনার পরপরই উল্টো মিরপুরে তার বহরের ওপর হামলার অভিযোগ আনেন। ঘটনাকে কিছুটা ধামাচাপ দেয়ার চেষ্টা করেও সফল হননি বিএনপির মিত্র ঐক্যফ্রন্ট। তীব্র সমালোচনার মধ্যেই কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কুষ্টিয়ায়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন ইবির ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ও দৈনিক বাংলাদেশ সময়’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. মুস্তাফিজুর রহমান (মিঠুন মুস্তাফিজ)। এ অবস্থায় শনিবার সকালে একটি কৌশলী বিবৃতি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে পার পাওয়ার চেষ্টা করেছেন ড. কামাল। তার স্বাক্ষরযুক্ত ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘১৪ ডিসেম্বর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্মৃতি সৌধের বেদিতে দাঁড়িয়ে আমি বলেছিলাম, আমরা কত মেধাবী সন্তানদের হারিয়ে তবে স্বাধীনতা পেয়েছি। তখন হঠাৎ করে বেদিতেই আমার কাছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলো। আমি তাৎক্ষণিক সবিনয়ে বলি, আজকে এই দিনে, যেখানে আমাদের গভীর অনুভূতির বিষয়, এই বিষয়ে এখানে কোন মন্তব্য করতে চাই না। পুনরায় একই প্রশ্ন তুললে আমি একই মনোভাব ব্যক্ত করি। কিন্তু তৃতীয়বার ভিড়ের মধ্য থেকে কোথাও অনবরত দুই থেকে তিনবার আমি শুধু ‘জামাত জামাত’ শব্দ শুনতে পাই। তখন আমার খুবই খারাপ লেগেছিল। এবং আমি প্রশ্নকর্তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমার বক্তব্য কোনোভাবে কাউকে আহত বা বিব্রত করে থাকে, তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে কৌশল বয়ান নিয়ে সুবিধা করতে পারেননি ঐক্যফ্রন্ট নেতা। সাংবাদিকদের অবমাননাকর ও হুমকি দেয়ার ঘটনায় ড. কামালকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন সাংবাদিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটাম দেয়া হয়। এছাড়া এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ সোমবার প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএফইউজে ও ডিইউজে। আগামীকাল মঙ্গলবার সারাদেশে বিএফইউজের অঙ্গসংগঠনগুলো বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচী পালন করবে। বিএফইউজের মহাসচিব শাবান মাহমুদ বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা কুদ্দুস আফ্রাদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, বিএফইউজে যুগ্ম-মহাসচিব অমিয় ঘটক পুলক প্রমুখ। ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ড. কামাল হোসেন জামায়াতের কাছ থেকে কত টাকা খেয়ে তাদের পক্ষে ওকালতি করছেন? আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ এ বক্তব্যের দাঁত ভাঙা জবাব দেয়ার জন্য তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ভোটারদের আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, বিজয়ের মাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবসে ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন। দেশের ক্রান্তিলগ্নে, মুক্তিযোদ্ধাদের ক্রান্তিলগ্নে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু জামায়াত-শিবিরের ক্রান্তিলগ্নে তিনি ঠিকই হাজির হন। কত টাকার বিনিময়ে তিনি স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষে মাঠে নেমেছেন? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিক নেতারা বলেন, তা না হলে সাংবাদিক সমাজও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে ঐক্যফ্রন্টের কোন সংবাদ গণমাধ্যম আর কভারেজ করবে না। ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী ড. কামাল হোসেনের ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশন না করতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ ॥ এদিকে কামালের এ ধরনের তৎপরতার প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। ধানম-িতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন ও ক্ষুব্ধ আচরণ করেছেন। সাংবাদিকদের হুমকি-ধমকি দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনীতিতে ড. কামাল হোসেনকে কখনো জাতির সংকট মুহূর্তে পাওয়া যায়নি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং ১৯৭৫ সালে ড. কামাল হোসেনের ‘রহস্যাবৃত’, ‘বিতর্কিত’ ভূমিকার কথা দেশবাসী জানে। দেশ ও জাতির প্রয়োজনে তাকে কখনো পাওয়া যায়নি। নানক আরও বলেন, ড. কামাল হোসেন বিভিন্ন সময় দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন, ড. কামাল হোসেনের ষড়যন্ত্র-রাজনৈতিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতারই অংশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ॥ জাতীয় সংসদে দুটি আসন পাওয়া জন্য খুনী রাজাকারদের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনসহ অন্যরা হাত মিলিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে এই হাত মেলানোকে ‘খুব জঘন্য’ ব্যাপার বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, তার মতো ব্যক্তির কাছ থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন আচরণ কাম্য না। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে হচ্ছে। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘বিজয়ের পতাকা’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ থেকে ফেরার পথে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের গাড়িতে হামলাকারীদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটা নিয়ে একটি জিডি হয়েছে, তদন্ত চলছে। ড. কামালকে বহনকারী গাড়িটি একটি কাঁচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাশেদ খান মেনন ॥ অন্যদিকে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করে ড. কামাল কেবল বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যাওয়ার নৈতিক অধিকারই হারাননি, বুদ্ধিজীবী হত্যা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কথা বলার অধিকারও হারিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রাশেদ খান মেনন বলেন, জিয়া-খালেদার পর ড. কামাল এখন যুদ্ধাপরাধীদের রাষ্ট্র ও সমাজে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছেন। আর এই অপরাধবোধ থেকেই সম্ভবত তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে ক্ষেপে গিয়েছিলেন। তার মনে রাখা উচিত, ধমক দিয়ে এক মুখ বন্ধ করা যায়, কিন্তু কোটি মানুষের মুখ বন্ধ রাখা যায় না। শুধু সাংবাদিকদের কাছে নয়, দেশবাসীর কাছে তারই ক্ষমা চাইতে হবে।
×