ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সালাম বাংলা, সালাম বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮

সালাম বাংলা, সালাম বাংলাদেশ

বেসিস বোর্ডের সাবেক পরিচালক ও আমার প্রিয়জন মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল গত ৬ ডিসেম্বর ফেসবুকে এক অনুচ্ছেদের একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে। সোহেলের মতো আমার শুভাকাক্সক্ষীদের অনেকেই আমাকে একটু আলাদা সম্মান দেয়। এই স্ট্যাটাসটা তার প্রমাণ। জীবনে ওদের ঋণ কখনও পরিশোধ করতে পারব না। ওর স্ট্যাটাসটা এ রকম, ‘ইনফোকমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও দুপুরের আহারের পর আমাদের বেশ তাড়া ছিল আইসিটি হাইটেক পার্ক পরিদর্শনে যাওয়ার। তাই অনেকটা দ্রুত পায়ে হোটেলের লিফটের দিকে পা চালালাম, প্রায় দরজায় পৌঁছে গেছি, এমন সময় এক ভদ্রলোক এসে মোস্তাফা জব্বার ভাইকে বললেন, ‘স্যার আজ আপনার বক্তব্য শুনে প্রাণ ভরে গেছে, তাই আপনার পা দুটো ধরে প্রণাম করতে চাই’। উনি প্রণাম করলেন এবং সবাই অবাক হয়ে একজন অপরিচিত মানুষের জব্বার ভাইয়ের প্রতি এই শ্রদ্ধা ও ভালবাসা অবাক নয়নে মুগ্ধ হয়ে দেখল, সাক্ষী হলাম বিরল এক অভিজ্ঞতার।’ সোহেলের সঙ্গে একটি বিষয়ে আমি একমতÑ এটি এক বিরল অভিজ্ঞতা। বলা যেতে পারে, এক ধরনের অপ্রস্তুত অভিজ্ঞতাও। সোহেল যে দৃশ্যটির বিবরণ দিয়েছে, তেমন ডজন খানেক ঘটনা ঘটেছে সেই সময়ে, মাত্র দুদিনে। দল বেঁধে এসে পা ছুঁয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ চেয়েছে ইনফোকমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দর্শকরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এই বিষয়টি আমাকে ব্যাপকভাবে আলোড়িত করেছে। আমি এই অভাবনীয় ঘটনার কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছি। দুয়েকজনকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম-একদম পা ছুঁয়ে প্রণাম কেন? একজন আমাকে বলেছেন, আপনি যে হলে আজ ভাষণ দিলেন এই হলে প্রতিদিন নানা রকমের অনুষ্ঠান হয়-কিন্তু আজ অবধি কেউ সম্ভবত এখানে বাংলায় ভাষণ দেননি। কোন সেমিনার, সামিট বা সাধারণ অনুষ্ঠানেও কলকাতার ভাষা থাকে ইংরেজী। আপনি প্রমাণ করলেন, বাংলা ভাষা আপনারাই ধারণ করে রেখেছেন। এজন্যই ভাষার জন্য রাষ্ট্র গঠন করা আপনাদের দ্বারা সম্ভব হয়েছে। সালাম বাংলা ও বাংলাদেশকে। আরেকজন মাঝ বয়সী মহিলা আমার রুমে ওঠার লিফটের পাশে একা বসে ছিলেন। আমাকে দেখেই হাসি দিয়ে ওঠে দাঁড়িয়ে বললেন, আমার ৪০ বছর বয়সে এমন একটি ভাষণ আমি শুনিনি। আমাকে আশীর্বাদ করে দিন। এরপর সেই মেয়েটি আমার পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। ‘ভাল থেকো মা’ বলে ওর চোখের দিকে তাকাতেই দেখলাম চোখের কোনে পানি। বললেন, স্যার, আমাদের রাজ্যে এমন একটি অনুষ্ঠানে বাংলায় কথা বলার মানুষ আপনি পাবেন না। কেউ সাহস করে না। আমি দেখিনি। দু-চারটি কথা বলে জানলাম- একটু শেকড়ের টানও রয়েছে। মেয়েটির পূর্ব পুরুষেরা বাংলাদেশ থেকে গেছে। চোখের পানিটা বোধহয় সেই কারণে। মেয়েটি আরও বলল, স্যার বাংলাদেশের যে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরলেন সেটিও আমরা কল্পনা করিনি এপার থেকে। একটি মন্ত্রণালয়ের দুটি বিভাগের প্রচুর কাজের চাপের মাঝেও আমি আমার প্রিয় বন্ধু সাফকাত হায়দারের অনুরোধে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলিকাতায় আয়োজিত ইনফোকম ১৮-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সম্মতি প্রদান করি। তখন মন্ত্রী ছিলাম। সম্মেলনটি ৬-৮ ডিসেম্বরে কলকাতার আইটিসি সোনার হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। আমি ৫ ডিসেম্বর বিকেলের বিমান ফ্লাইটে কলকাতা পৌঁছাই। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু বিমানবন্দরে আমাদের কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনার নিজে উপস্থিত থেকে আমাকে স্বাগত জানান। এর আগে স্পেন, জাপান ও থাইল্যান্ডে আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা পেয়ে আমি মুগ্ধ। বিমানবন্দরের বাইরে বাংলাদেশের পতাকাসংবলিত গাড়ি আমাকে অনেকটাই আবেগাপ্লুত করে। মনে পড়ে বাংলা বিহার উড়িষ্যার কথা। মনে পড়ে কলকাতা একদিন ভারতবর্ষের রাজধানী ছিল। পূর্ব বাংলা ছিল বাঙালদের বসবাসের জায়গা-লাঙল-জোয়ালের দেশ। সেই কলকাতা এখন তার নিজের ভাষাও টিকিয়ে রাখতে পারছে না। বাঙালীরা এমনকি নিজেরাও হিন্দিতে কথা বলে। কেবল হয়তো বাড়িতে বাংলা চলে। বাঙালদের দেশ থেকে স্বাধীন দেশের পতাকা উড়িয়ে কলকাতার রাস্তায় চলতে পারা এবং কলকাতা পুলিশের প্রটোকল পাওয়া ভিন্ন আমেজেরতো বটেই। ভারতের সঙ্গে আমার স্মৃতি আবেগময়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল নিয়ে প্রথম ভারতের মেঘালয়ে প্রবেশ করি। সেই দলটির প্রশিক্ষণ নিতে তিন মাস সময় লাগবে জেনে আরও একটি দল নিয়ে আবার মেঘালয়ে যাই। সেখান থেকে ’৭১-এর ডিসেম্বর মাসের ৬ তারিখে হাতে একটি মাত্র গ্রেনেড নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করি। সেদিন থেকেই আমার উপজেলা খালিয়াজুরি আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তাঞ্চল ঘোষিত হয়। যদিও খালিয়াজুরী পুরো নয় মাসই মুক্ত ছিল তথাপি সেদিন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি ও মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সর্বাত্মক জড়িয়ে পড়া আমাদের জন্য এক অসাধারণ স্মৃতি হয়ে ওঠে। সেদিনই আমাদের লিপ্সা বাজারের মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড অফিস প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই ভারত যেখানে এক সময়ে জয় বাংলার লোক বলে পরিচিত ছিলাম, সেই ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী গাড়িতে চড়ব, সামনে কলকাতা পুলিশের গাড়ি থাকবে এটি নস্টালজিয়াতো বটেই। সাফকাত ভাইয়ের প্রস্তাবে রাজি হওয়ার আরও একটি কারণ ছিল যে ওখানে গেলে কলকাতার হাসপাতালে কিডনি রোগী স্ত্রী বকুল মোস্তাফা ও ছেলে বিজয় জব্বারের সঙ্গে দেখা করা যাবে। ওরা বস্তুত সময়ের সঙ্গে লড়াই করছে। বকুলের সঙ্গে দেখা হয় না এক মাস হবে। ডায়ালাইসিস আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে করতে আরও কতদিন লাগবে সেটাও জানছিলাম না। ইনফোকমের আয়োজন আমার পরিচিত। এর আগেও কয়েকবার আমাকে ইনফোকমে দাওয়াত দেয়া হয়েছে। কিন্তু থাকতে পারিনি। এবার এসে আইটিসি সোনার হোটেলেই উঠলাম। আয়োজকরা সেই আয়োজনই করেছে। হোটেলটিতে আরও একবার ছিলাম। সাংসদ মাইনুদ্দিন আহমদ বাদল কলকাতার একটি টিভিতে এক সময়ে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতেন। তারই উপস্থাপনার একটি পর্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছিলাম। হোটেলে আসার পথে কলকাতা বিমানবন্দর সড়ক, সল্ট লেক ও আশপাশের এলাকা দেখে চমকে উঠছিলাম। মেট্রোরেল-ফ্লাইওভারসহ ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান চারপাশে। ইনফোকমের সম্মেলনও আগের চাইতে অনেক বিস্তৃত হয়েছে। সম্মেলনটিতে শুরুর দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনটি ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের আইটি মন্ত্রী অমিত মিত্র। আমার কাজ ছিল অমিত মিত্রের আগে বিশেষ অতিথির ভাষণ প্রদান করা। আমি নিজেই স্থির করেছিলাম, বাংলাতেই ভাষণ দেব। আমি ভাষণে বলেছিও, নজরুল-রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থানে আমি বাংলা ছাড়া অন্য কোন ভাষায় কথা বলতে পারি না। আমি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় জনগণের সহায়তা ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ করা ও আত্মত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। আমার ঐ ভাষণটির পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতার ইংরেজী দৈনিক গত ৭ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২০ মিনিটের ভাষণটি প্রতিবেদনে পুরো উপস্থাপিত না হলেও এর গুণগত মান এত ভাল যে Hurt rules head at Infocom digital meet শিরোনামে মুদ্রিত এই প্রতিবেদনটির বাংলা অনুবাদ করার ইচ্ছা হচ্ছিল না আমার। এটির মূল ইংরেজী পাঠ করলে অনুভব করা যাবে আমি ৬ ডিসেম্বর ইনফোকমে কোন বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছিলাম। আমার বক্তব্য উপস্থাপন সম্পর্কে প্রতিবেদনের শুরুতেই বলা হয়। The audience was ready for another geek-speak, but the man in kurta-pajama at the lectern belied the expectation through his 20-minute address. শুরুটার পর যা লেখা তার বাংলা অনুবাদ এরকম; বাংলাদেশের ডাক টেলি যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অনুষ্ঠানের প্রথম প্রথা ভাঙ্গেন মাতৃভাষা বাংলায় ভাষণ দিয়ে। তিনি অবশ্য তার ভাষণের শুরুতে তাদের কাছে ক্ষমা চান যারা বাংলা বোঝেন না। তবে এই কথাটিও বলেন যে, আগামী কয়েক বছরে ভাষা কোন সমস্যাই হবে না। তবে মজার বিষয় হলো যে, আনন্দবাজার গোষ্ঠী আয়োজিত পূর্ব ভারতের বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনীর দর্শকরা তার গল্পবলার ভঙ্গিতে প্রদত্ত ভাষণ মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছিলেন ও প্রশংসা করছিলেন। প্রতিবেদনে এরপর আমার বক্তব্য এভাবে উদ্ধৃত করা হয়, ‘Today is December 6, the day Bangladesh got the recognition of an independent country. I recall the support that India extended to my country in our war of independence. On this day, I had stepped into my country,’ গিগাবাইট ও টেরাবাইটের এই সম্মেলনে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এভাবেই ইতিহাসের সঙ্গে প্রযুক্তিকে সম্পৃক্ত করেন। বিজয় বাংলা কীবোর্ডর উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশের ৭২-৭৩ সালে ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট কিভাবে ১৮-১৯ অর্থবছরে সাড়ে চার লাখ কোটি টাকার বাজেটে রূপান্তরিত হয় এবং কেমন করে দেশটি এশিয়ার অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয় তার সংক্ষিপ্ত বিবরণও তুলে ধরেন। When Digital Becomes Human এই থিমের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তিনি তার দেশের ১৬ কোটি মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কেমন করে প্রযুক্তিকে আলিঙ্গন করেছে তার বিবরণ তুলে ধরেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রসার সম্পর্কে তিনি বলেন ‘সরকারের ৫৩টি মন্ত্রণালয়ের তিন শতাধিক সেবা জনগণের কাছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পৌঁছানো হয়। দেশের সমুদয় আর্থিক লেনদেনের শতকরা ৪০ ভাগ ডিজিটাল পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। কেবলমাত্র মোবাইল ফোনে দৈনিক ১০২৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়। সাংবাদিক থেকে রাজনীতিবিদে রূপান্তরিক মন্ত্রী মহোদয় বলেন যে, ভারত ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলো উন্নত বিশ্ব থেকে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে যে কাজগুলো করছে এখন সময় হয়েছে এর পাশাপাশি ডিজিটাল পণ্য উৎপাদন করা এবং উচ্চ স্তরের কাজগুলো করা। তার ভাষায় ‘আমরা আর কতদিন কামলাগিরি করব’। তিনি বলেন, প্রযুক্তি মানুষের বিকল্প হতে পারে না। ’If the drivers loose job because of remote-driven cars, I won’t be comfortable… If the women working in the readymade garment sector in my country lose their jobs to robots, it would be a blow,’ said the minister, before adding that creating jobs for educated youths was the biggest challenge in today’s world. He underscored another challenge. ’The time has come to throw the existing education system, which we inherited from the British, to the Bay of Bengal… Revamping the education system to suit the needs of digital era is the biggest challenge,’ he signed off in style. (https://www.telegraphindia.com/business/ it-companies-must-move-up-value-chain-bangadesh-minister-tells-infocom/cid/1677926?ref=business_home- template) ইনফোকমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া আমার ভাষণটি যে এমনটি তোলপাড় করে দিয়েছে সেটি অনুভব করলাম তখনই যখন বক্তব্য পেশ করার পর আমি অমিত মিত্রের পাশে বসি। তিনি দাঁড়িয়ে আমাকে সম্মান দেখিয়ে বললেন-যা বললেন তারপর আমি আর কি বলব? বক্তব্য পেশ করার সময় করতালি একটি দিক নির্দেশনা দেয়- ক্ষণে ক্ষণে করতালি পেয়ে অনুভব করছিলাম কথাগুলো সম্ভবত সুধীজনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অমিত মিত্রের ভাষণ এর মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর বিস্মিত হলাম যখন মঞ্চেই কয়েকজন ওঠে পড়ে পা ছুয়ে প্রণাম করলেন। সারা জীবনে বক্তব্য দিয়ে করতালি পেয়েছি অনেক, তবে ভাষণের জন্য জীবনে প্রণাম পেলাম এই প্রথম। সেই যে শুরু ৭ ডিসেম্বর কলকাতা ছেড়ে আসার পরের মুহূর্ত অবধি এমন ঘটনাও ঘটেছে যে কেউ কেউ তিনবারও প্রণাম করেছেন। বাংলাদেশ যখন তার স্বাধীনতার ৪৭ বছর অতিক্রম করছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার এক দশক পার করছে তখন একেবারে পাশের বাড়ি থেকে পাওয়া এই ছোট্ট সম্মাননাটুকু আমার মতো খুদে একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্য বড় ধরনের পাওনা। লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাসের চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক।
×