ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাগরে গভীর নিম্নচাপ, ডিসেম্বরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮

সাগরে গভীর নিম্নচাপ, ডিসেম্বরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় একই এলাকায় অবস্থান করছিল। ডিসেম্বরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। তবে নিম্নচাপটি কেটে গেলে বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা। সৃষ্টি হতে পারে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। নিম্নচাপের কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সঙ্কেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, গভীর নিম্নচাপটি শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে ছিল। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে না যেতে বলেছে অধিদফতর। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দু’টি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলে ইতোমধ্যে মাঝারি ধরনের শীত অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত পড়ছে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা। আগামী তিন দিনে দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনেক হ্রাস পাবে। চলতি মাসে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণের তেমন সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ডিসেম্বর মাসে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি অথবা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা অথবা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তবে সারাদেশে একটানা দুই থেকে তিন দিন ঘন অথবা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ডিসেম্বর মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ মাসে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে। দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকবে। সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত রাজধানীতেও অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলের গ্রাম এলাকায় শীতের তীব্রতা যেন একটু বেশি। রাতের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দেশের সর্বত্র ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা পড়ছে। গ্রামাঞ্চলের নদীর কিনারায়, বিস্তীর্ণ বিল ও বনের ধারে কুয়াশার মাত্রা বেড়েই চলেছে। রাজধানীর নামীদামী শপিংমল, মার্কেট ও ফুটপাথগুলোতে শীতবস্ত্র বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহে দেশের সর্বোচ্চ ও নিম্ন তাপমাত্রা অনেক হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে দেশের অধিকাংশ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে।
×