ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ইমার্জিং টিমস কাপ ক্রিকেট

রুদ্ধশ্বাস জয়ে চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮

রুদ্ধশ্বাস জয়ে চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ যেন ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে এক পসলা স্বস্তির বাতাস। শক্তিধর ভারতকে হারিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ইমার্জিং টিমস কাপের শিরোপা উপহার দিলেন দেশটির অনুর্ধ-২৩ ক্রিকেটাররা। শনিবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে লঙ্কানরা জিতেছে ৩ রানে। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে শামু আহসানের দল। জবাবে ক্ষণে ক্ষণে রং বদলানো তুমুল নাটকীয় ম্যাচে ৯ উইকেটে ২৬৭ রানে থামে ভারতের সংগ্রহ। ৫৫ বলে ৬১ রানের চমৎকার ইনিংসটির জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন কামিন্দু মেন্ডিস। আসরজুড়ে ধারাবাহিক পারফর্মেন্সে সিরিজসেরার পুরস্কারও উঠেছে লঙ্কান টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানের হাতে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ইমার্জিং টিমস কাপের শিরোপা জিতল শ্রীলঙ্কা। গতবার তারা হারিয়েছিল আরেক পরাশক্তি পাকিস্তানকে। ২৭১ রানের টার্গেট দিয়ে শ্রীলঙ্কার বোলাররা ১২৭ রানেই ভারতের ৬ উইকেট তুলে নেয়। তখন হয়তো সহজ জয়ের আভাস পাচ্ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু তাদের ঘাম ঝরিয়েছে সপ্তম উইকেট জুটি। শামস মুলানির সঙ্গে অধিনায়ক জয়ন্ত যাদব ১০৭ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান। কিন্তু ৪৭তম ওভারে তাদের ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরায় শ্রীলঙ্কা। প্রথম বলে ৭১ রানে আসেলা গুনারতেœর শিকার হন জয়ন্ত। ৪৬ রানে দারুণ নৈপুণ্যে শামসকে রানআউট করে শেহান জয়সুরিয়া। এরপর অঙ্কিত রাজপুত নিজের প্রথম বলে বোল্ড হন। ২৩৮ রানে ৯ উইকেট হারালেও শ্রীলঙ্কাকে স্বস্তি দেননি আতিত শেঠ ও মায়াঙ্ক মারকান্দের শেষ জুটি। আতিতের ঝড়ো ইনিংসে শেষ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। দুটি ছক্কা মারেন এই লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান। কিন্তু শেষ বলে প্রয়োজনীয় ছক্কার দেখা পাননি আতিত। ২ রান নেন দৌড়ে। লঙ্কার হয়ে আসেলা সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। শেহান ও লাসিথ আম্বুলদেনিয়া পান দুটি করে উইকেট। তার আগে ইনিংসের প্রথম ওভারে উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়ায় দুই ফিফটিতে। ওপেনার হাসিথা বোয়াগোদার পর মিডলঅর্ডারে হাফ সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হন কামিন্দু মেন্ডিস। ৬১ রান করেন তিনি। আর হাসিথার ব্যাটে আসে ৫৪ রান। শেহান করেন ৪৬ রান। শেষদিকে ওয়ানিদু হাসারাঙ্গার অপরাজিত ৩১ রানের ইনিংসটি ছিল দারুণ কার্যকরী। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন অঙ্কিত। চার ম্যাচে তিন ফিফটিতে টুর্নামেন্টসেরা কামিন্দু। টুর্নামেন্টে মোট আটটি দল অংশ নেয়। গ্রুপÑএ ভারত, শ্রীলঙ্কা, ওমান। গ্রুপ-বি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আমিরাত, হংকং। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিদায় নেয় নুরুল হাসান সোহানের বাংলাদেশ ইমার্জিং ক্রিকেট দল।
×