ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভোলায় সংঘর্ষে অগ্নিসংযোগ ব্যাপক ভাংচুর, আহত ৫০

প্রকাশিত: ০১:৪৩, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮

ভোলায় সংঘর্ষে অগ্নিসংযোগ ব্যাপক ভাংচুর, আহত ৫০

নিজসস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥ ভোলা-২ আসনের বোরহানউদ্দিন উপজেলার উদয়পুর রাস্তার মাথা এলাকায় ও হাকিমুদ্দিন এলাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারনা চলাকালে প্রতিপক্ষ বিএনপির কর্মীরা হামলা চালিয়েছে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে। এসময় আওয়ামীলীগের ৫টি নির্বাচনী অফিস ও মাইক্রেবাস ভাংচুরসহ অন্তত ২০টি মটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় সাংবাদিকদের মারধর করে ক্যামেরা ছিনতাই করা হয়। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ও দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষে অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, র্দীঘ ১০ বছর ধরে ভোলার বোরহানউদ্দিনে শান্তিপূর্ন পরিবাবেশ বিরাজ করছিলো। নির্বাচনী প্রচারনা শুরুর পর পরিবেশ পরিস্থিতি ছিলো শান্ত। রবিবার সকালে ভোলা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে আসার খবরে বোরহানউদ্দিনের হাকিম উদ্দিনের বিএনপির কর্মীরা সমবেত হতে থাকে। কিন্তু সকালে বোরহানউদ্দিনের হাকিম উদ্দিন লঞ্চঘাট এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ন ভাবে গণসংযোগ চলছিলো। তখন অর্তকিত ভাবে বিএনপির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সেলিমের নেতৃত্বে লাঠিসোটাসহ হামলা চালানো। এসময় ২০টি মটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলা হয়। উদয়পুর রাস্তার মাথা এলাকায় ৫টি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসসহ ৫টি মাইক্রোবাস ভাংচুর করা হয়। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতিরোধ গড়ে তুলে। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতরদেরকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া সাংবাদিকরা ছবি তোলতে গেলে এশিয়ান টিভি, চ্যানেল এস টিভির ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। মারধর করা হয় প্রথম আলোর সাংবাদিক নেয়ামতউল্লাহ, এনটিভির সাংবাদিক আফজাল হোসেনকে। অপর দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম ঘাটে এসে পৌছলে পুলিশের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তার বাসায় গিয়ে পৌছেন। অপর দিকে ভোলা-২ আসনের প্রার্থী আলী আজম মুকুল সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন বিএনপির প্রার্থী র্দীঘ দিন পর এলাকায় আসায় শান্তির জনপদ অশান্ত হয়ে উঠেছে। তিনি কয়েক শত বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করেন। বোরহানউদ্দিন আসার আগেই দৌলতখানে লঞ্চ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। তাদের নেতাকর্মীদের উপর মারধর করা হয়। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়। এদের কয়েক জনের অবস্থা আশংকাজনক। ২০০১ সনের মতো আবার বিএনপির প্রার্থী বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিনত করতে চাচ্ছে। তার পরও উল্টো তারা মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। এ ঘটনার জন্য আলী আজম হাফিজ ইব্রাহিমকে দায়ী করেন ইসিসহ পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এব্যাপারে মামলা করার জন্য প্রস্ততু নিচ্ছেন বলে জানান। এব্যাপারে ভোলা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি শুনেছেন বোরহানউদ্দিনে নেতাকর্মীরা লঞ্চঘাটে জড়ো হলে তাদের উপর প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালায়। এতে তাদের ১২ জন আহত হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। বোরহানউদ্দিন থানার এসআই মোহাইমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তারা খবর পেয়ে ঘটনা স্থল থেকে আগুনে পোড়া মটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। তবে এখনো কেউ মামলা করেননি।
×